জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় দাম্পত্য। এই জীবনে একজন যুবক-যুবতী তার মানসিক-শারীরিক-আত্মিক-সাংস্কৃ
এখন দেখে নেওয়া যাক আপনার রাশি অনুযায়ী আপনার বিবাহের সেরা সময় কী হতে পারে-
মেষ রাশি- এই রাশির জাতক মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির পাত্রীকে বিবাহ করলে ভাল হবে। অর্থাৎ বিবাহিত জীবন সুখের হবে। এ ছাড়া যাদের জন্ম মাস ভাদ্র, কার্তিক, বৈশাখ, পৌষ, তাদের সঙ্গে বিবাহ হওয়া উচিত। এই রাশি যদি কোনও নারীর হয়, তা হলে পুরুষের রাশি হতে হবে মিথুন, কর্কট, মকর বা কুম্ভ।
শুভ সংখ্যা- ১,২, ৬, ৮, ৯।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- বৈশাখ, শ্রাবণ ও মাঘ মাস।
বৃষ রাশি- এই রাশির জাতকের বিবাহ করা উচিত এমন পাত্রীকে যার জন্ম মাস অগ্রহায়ণ, আশ্বিন ও মাঘ এবং পাত্রী হবেন বৃষ, কন্যা, মকর, বৃশ্চিক ও মীন রাশির। এই রাশির জাতিকার জন্য পুরুষের রাশি হতে হবে কর্কট, সিংহ, কুম্ভ বা মীন। প্রেম করে বিবাহ করলে অসবর্ণ বিবাহ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যা পরবর্তী কালে সুখকর নাও হতে পারে।
শুভ সংখ্যা- ১, ৪, ৫, ৬, ৮।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে পাঁচমুখী ও ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- জ্যৈষ্ঠ, মাঘ, ফাল্গুন মাস।
মিথুন রাশি- এই রাশির বিবাহ হওয়া উচিত এমন জাতিকার সঙ্গে যার লগ্ন হবে মেষ, সিংহ, তুলা, ধনু ও কুম্ভ। এই রাশি নারীর হলে পুরুষের রাশি হতে হবে সিংহ, কন্যা, মীন বা মেষ রাশি। প্রেম করে বিবাহ সুখী করবে। তবে স্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকতে পারে।
শুভ সংখ্যা- ১, ৩, ৫, ৭, ৯।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে তিনটি পাঁচমুখী অথবা দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
আরও পড়ুন: বিবাহিত জীবনে চন্দ্রের প্রভাব সম্বন্ধে জেনে নিন
বিবাহের সেরা সময়- আষাঢ়, ফাল্গুন ও বৈশাখ মাস।
কর্কট রাশি- এই রাশির জাতকের বিবাহ হওয়া উচিত বৃষ, কর্কট, কন্যা, বৃশ্চিক, মীন রাশির সঙ্গে। জাতিকার জন্য পুরুষের রাশি হতে হবে কন্যা, তুলা, মেষ বা বৃষ। প্রেমঘটিত বিবাহ জীবনে মধুর হবে না। অল্প বয়সে কদাচ বিবাহ নয়। শুক্র ও শনি দুর্বল হলে প্রেম ও বিবাহ ব্যাপারে হতাশা আনতে পারে।
শুভ সংখ্যা- ২, ৭, ৯।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- শ্রাবণ, মাঘ ও বৈশাখ মাস।
সিংহ রাশি- এই রাশির জাতক এমন মহিলাকে বিবাহ করবেন, যাদের মেষ, মিথুন, সিংহ, তুলা, ধনু লগ্ন বা রাশি। অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে জন্ম এমন পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ না হওয়াই ভাল। এই রাশির পাত্রী হলে পাত্রের রাশি হওয়া উচিত তুলা, বৃশ্চিক, মেষ বা বৃষ।
বিবাহিত জীবনে নিজের ভুলের জন্য অশান্তি। প্রেম করে বিবাহ করলে অসুখী হতে পারেন। অল্প বয়সে বিবাহ হলে ভাল ফল।
শুভ সংখ্যা- ১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালে লগ্ন অনুসারে আপনার কী করা উচিত (প্রথম পর্ব)
বিবাহের সেরা সময়- অগ্রহায়ণ, ফাল্গুন, বৈশাখ মাস।
কন্যা রাশি- দাম্পত্য জীবনে অশান্তির কারণ হবে জাতক বা জাতিকা নিজেই। সামান্য ব্যাপার নিয়ে বেশির ভাগ দিন মনের শান্তি নষ্ট হবে। গুপ্ত শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। বিবাহ সম্বন্ধে বিশেষ সতর্কতা আবশ্যক। যার জন্ম মাস মাঘ, চৈত্র বা জ্যৈষ্ঠ এবং যার বয়স জাতকের চেয়ে অনেক কম এমন কোনও জাতিকাকে বিবাহ করলে জাতক সুখী হতে পারবে। জাতিকার ক্ষেত্রে এমন জাতককে বিবাহ করা উচিত, যার জন্ম মাস জাতিকার জন্ম রাশির বিরুদ্ধে নয় এবং বয়সের পার্থক্য খুব বেশি না হয়। বৃশ্চিক, ধনু, মিথুন বা কর্কট রাশির সঙ্গে বিবাহ হলে ভাল।
শুভ সংখ্যা- ২, ৩, ৫, ৬, ৭।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে পাঁচ ও দশমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- মাঘ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় মাস।
তুলা রাশি- আত্মকেন্দ্রিকতা এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। প্রেম বা বিবাহে প্রকৃত সুখী হতে পারে। জীবনে একজনকেই ভালবাসবে। সাধারণ ভাবে জাতকের মেষ, মিথুন, তুলা, কুম্ভ রাশির জাতিকার সঙ্গে বিবাহ হওয়া উচিত। পাত্রীর জন্ম মাস হওয়া উচিত বৈশাখ, আষাঢ় ও ফাল্গুন। এই রাশির পাত্রী হলে পুরুষ হতে হবে ধনু, মকর, কর্কট বা সিংহ রাশির। জন্ম মাস বৈশাখ, আষাঢ়, ফাল্গুন হলে উত্তম।
শুভ সংখ্যা- ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে পাঁচমুখী ও ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- মাঘ, ফাল্গুন, বৈশাখ ও আষাঢ় মাস।
বৃশ্চিক রাশি- জীবনে বহু নারী আসবে। কিছু নারীর দ্বারা বিপথে চলিতও হতে পারেন। জাতকের বৃষ, কর্কট, বৃশ্চিক, মীন রাশি বা লগ্নের মহিলার সঙ্গে বিবাহ সুখকর হবে। এ ছাড়া জৈষ্ঠ্য, শ্রাবণ ও চৈত্র মাসে জন্ম এমন মহিলার সঙ্গে বিবাহ-সম্পর্ক হলে ভাল হবে। এই রাশি যদি জাতিকার হয়, তা হলে পুরুষের রাশি মকর, কুম্ভ, সিংহ বা কন্যা রাশি হলে ভাল হবে।
শুভ সংখ্যা- ১, ২, ৩, ৪, ৭, ৯।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- অগ্রহায়ণ, ফাল্গুন, জ্যৈষ্ঠ, ও শ্রাবণ মাস।
ধনু রাশি- নতুন প্রেমের ক্ষেত্রে উত্তম সময়। ভাগ্য পরিবর্তনশীল। এই জাতকের মেষ, মিথুন, সিংহ, ধনু, কুম্ভ লগ্নের বা রাশির জাতিকার সঙ্গে বিবাহ সুখকর হবে। এ ছাড়া পাত্রীর জন্ম মাস বৈশাখ, আষাঢ়, ভাদ্র হলেও ভাল। এটি পাত্রীর হলে পুরুষের রাশি হতে হবে কুম্ভ, মীন, কন্যা বা তুলা।
শুভ সংখ্যা- ১, ২, ৩, ৫, ৬।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে ন’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- বৈশাখ, আষাঢ় ও ফাল্গুন মাস।
মকর রাশি- প্রেম ও বিবাহ দু’টো ক্ষেত্রেই সন্দেহবাতিক। বিবাহিত জীবনে সুখের আশা কম। প্রেম না করাই ভাল। এমন জাতকের বৃষ, কন্যা, কর্কট, মকর ও মীন রাশি বা লগ্নের পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ সুখকর। এ ছাড়া পাত্রীর জন্ম মাস জৈষ্ঠ্য, শ্রাবণ, আশ্বিন হলেও ভাল হবে। কিন্তু জাতিকা এবং রাশি হলে পুরুষের রাশি হওয়া উচিত মীন, মেষ, তুলা, বৃশ্চিক।
শুভ সংখ্যা- ৪, ৬, ৭, ৮, ৯।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে পাঁচ ও ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- মাঘ, বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, শ্রাবণ মাস।
কুম্ভ রাশি- আত্মকেন্দ্রিক ভাব থাকলেও সকলের সঙ্গে মিশতে পারেন। এই জাতকের মেষ, মিথুন, সিংহ, তুলা, ধনু, কুম্ভ রাশি বা লগ্নের জাতিকার সঙ্গে বিবাহ সুখকর হবে। জাতিকার জন্মমাস আষাঢ়, ভাদ্র, কার্তিক হলেও শুভ হবে। এই রাশি যদি জাতিকার হয়, তা হলে জাতকের রাশি হওয়া উচিত মিথুন, সিংহ, কুম্ভ ও তুলা। প্রেম করে বিবাহ হলে সুখী হবেন। মনের অস্থিরতার জন্য প্রেম স্থায়ী নাও হতে পারে।
শুভ সংখ্যা- ১, ৩, ৭, ৯, ১০।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে পাঁচ ও ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
বিবাহের সেরা সময়- ফাল্গুন, জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় মাস।
মীন রাশি- ভাগ্য মঙ্গল, চন্দ্র, বুধ ও শনির অধীন। এই জাতকের বৃষ, কর্কট, কন্যা, বৃশ্চিক ও মীন লগ্ন বা রাশির পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ হলে ভাল হবে। পাত্রীর জন্ম মাস হওয়া উচিত আশ্বিন, অগ্রহায়ণ। আবার এই রাশির জতিকার এমন কোনও পুরুষকে বিবাহ করা উচিত যার জন্ম রাশি বৃষ, কর্কট, কন্যা, বৃশ্চিক বা মীন। জন্ম মাস হতে হবে জৈষ্ঠ্য, আশ্বিন, অগ্রহায়ণ, শ্রাবণ। নিজের খেয়ালের জন্য বিবাহিত জীবনে নানা অশান্তি, ঝামেলা আসতে পারে। হঠাৎ কোনও বেশি বয়সী মহিলার সঙ্গে অবৈধ প্রেম হতে পারে।
শুভ সংখ্যা- ১, ৩, ৪, ৯।
বিবাহের ক্ষেত্রে বাধা থাকলে ন’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
বিবাহের সেরা সময়- আষাঢ়, শ্রাবণ ও মাঘ মাস।