(১) বিশুদ্ধ চক্র আমাদের ষট চক্রের পঞ্চম চক্র। অবস্থান গলা বা ঘাড়ের কাছে। এই চক্রের দল বা পাপড়ির সংখ্যা ১৬টি।যোগীদের দৃষ্টিতে এটি একটি টারক্যুয়িস নীলরঙের আভার বিচ্ছুরণ।
(২) বিশুদ্ধ চক্র সব রকম শব্দ বা নাদকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটা সমস্ত যোগাযোগের কেন্দ্র। সব রকম কথা বলা বা ভারবাল কমিউনেশানের একমাত্র কেন্দ্র এই চক্র। একটা মানুষ যত ভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এটি। সমস্ত সিদ্ধান্ত এখান থেকে নেওয়া হয়। সব রকম পড়াশোনা, গান, বাজনা, লেখালেখি, সাংবাদিকতা, অভিনয়, নৃত্য, যত রকম অঙ্গভঙ্গি এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। যত রকম সৃষ্টিশীলতা আছে তার অন্যতম কেন্দ্র বিশুদ্ধ চক্র।
(৩) যারা বিশুদ্ধ চক্র ব্লক নিয়ে জন্মায়, তার পিছনে প্রধান যে জিনিসটা কাজ করে তা হল মিথ্যা বলা। এক বা একাধিক লোককে মিথ্যা কথা বলে নানা ভাবে তাকে বিপথে চালিত করলে জন্মান্তরের কর্মফলে বিশুদ্ধ চক্র ব্লক নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে হয়। যত বেশি মিথ্যা বলা হবে, ধীরে ধীরে বিশুদ্ধ চক্র ততই ব্লক হতে থাকবে।
(৪) মানুষকে অপমান করলেও বিশুদ্ধ চক্র আস্তে আস্তে কার্যক্ষমতা হারায় বা ঠিক মতো কাজ করে না। তার ফলে নানারকম কর্মফলের বাধা এই জীবনে আমাদের ভোগ করতে হয়।
(৫) ছোটবেলার কোনও ভয়ের ঘটনা থেকেও বিশুদ্ধ চক্র ব্লক হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবারে জন্মানো ব্যক্তিদের শরীর স্বাস্থ্য, পেশা, প্রেম ও বিবাহিত জীবন কেমন হয়
(৬) কাউকে মানসিক ভাবে কষ্ট দিলে অনেক সময় বিশুদ্ধ চক্র ব্লক হতে পারে। কাউকে কথার জোরে দাবিয়ে দিলে কর্মের ফলস্বরূপ জন্মান্তরের নিয়মে তাকে বিশুদ্ধ ব্লক নিয়ে জন্মাতে হয়।
(৭) বিশুদ্ধ চক্র ব্লক থাকলে অনেকে বোবা, কালা বা এই জাতীয় শারীরিক ত্রূটি নিয়ে জন্মায়।
(৮) কিছু কথা সব সময় মনে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। অনেকে বিতর্কের ভয়ে অনেক প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারে না। এরকম হয়বিশুদ্ধ চক্র ব্লক থাকার কারণে।
(৯) কথার জোরে অন্যকে কথা বলতে না দেওয়া- এতে বোঝায় বিশুদ্ধ চক্র ব্লক রয়েছে। অন্যের কথা ভাল ভাবে না শোনা বা গুরুত্ব দেওয়াতেও বোঝায় বিশুদ্ধ চক্র ব্লক আছে।
(১০) কী বলছি, তা না ভেবে বলা, কথার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকা, একটানা বলে যাওয়া, অশ্রাব্য গালিগালাজ করা, এই সব ঘটে বিশুদ্ধ চক্র ঠিক মতো কাজ না করলে।
(১১) অত্যধিক মাত্রায় গোপনচারিতা, সব সময় ফিস ফিস করা, মূল জায়গায় কথা বলতে না পারা বিশুদ্ধ চক্র ব্লকের লক্ষণ।
(১২) অত্যধিক ভয়ের কারণে কথা বলতে না পারা, বা এই রকম মনে হয় পাছে লোকে কিছু বলে– এই সবই বিশুদ্ধ চক্র ব্লকের বিভিন্ন প্রকাশ।
(১৩) উদ্দেশ্যহীন ভাবে চলা, জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে না পারা বা নিজের জীবনে সঠিক পেশা কি হবে না বাছতে পারাও চরম ভাবে বিশুদ্ধ চক্র ব্লকের অন্যতম দৃষ্টান্ত।
(১৪) বিশুদ্ধ চক্রের প্রভাব থাকে নাক, কান, গলা, থাইরয়েড, দাঁত, মুখ, কাঁধ, ঘাড়, সমস্ত অ্যাড্রিনালিন গ্ল্যান্ড
(১৫) যে সব দৈহিক লক্ষণ বিশুদ্ধ চক্র ব্লক থাকলে ঘটে থাকে, তার মধ্যে ল্যারেঞ্জাইটিস,ফ্যারেঞ্জাইটিস,
(১৬) যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও জগতে মূল্য না পাওয়ার পিছনেও বিশুদ্ধ চক্র-সহ আরও কিছু চক্র ব্লক থাকার ফলে ঘটে।