সাড়ে সাতীর প্রভাব কিন্তু জন্ম কোষ্ঠীতে তখনই পড়ে, যখন কোষ্ঠী দুর্বল হয়। অর্থাৎ জন্ম কোষ্ঠীর সবলতা ও দুর্বলতা অনুযায়ী জাতক/জাতিকার সাড়ে সাতীর প্রভাব পড়ে। কিন্ত বিভিন্ন চন্দ্র রাশির পক্ষে শনির সাড়ে সাতী চলাকালীন কেবল নীচে দেওয়া সময়গুলিতেই খারাপ ফল দেয়।
মেষ- মধ্য আড়াই বছর তুলা- শেষ আড়াই বছর।
বৃষ- প্রথম আড়াই বছর বৃশ্চিক- পরের পাঁচ বছর।
মিথুন- শেষ আড়াই বছর ধনু- পরের পাঁচ বছর।
কর্কট- মধ্য আড়াই বছর মকর- প্রথম আড়াই বছর।
সিংহ- প্রথম আড়াই বছর কুম্ভ- শেষ আড়াই বছর।
কন্যা- প্রথম আড়াই বছর মীন- পরের পাঁচ বছর।
পুরো সাড়ে সাতী চলাকালীন শনি কোনও চন্দ্র রাশির জাতকের উপরই ক্ষতিকারক হয় না। বৃশ্চিক, ধনু ও মীন রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে সাড়ে সাতী চলাকালীন পাঁচ বছর সমস্যা যায়। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে শনির সাত বছরের মধ্যে মাত্র আড়াই বছর খারাপ ফল দেয়।
কিছু কিছু জ্যোতিষ গ্রন্থে দেখা যায়, শনির সাড়ে সাতি জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক মানা হয়েছে। কারণ এই সময়ে অর্থাৎ এই সাড়ে সাতী চলাকালীন জাতক/জাতিকা নিজের জীবনকে বিচার করার ও নিজের গুণ, অবগুণকে বিশ্লেষণ করার সুযোগ পায়। শনি নিজের সাড়ে সাতীর শুরুতে প্রথমে জাতকের মাথায় আরোহণ করে, মধ্যভাগে ধড় এবং শেষে পায়ে নেমে এসে শরীর ত্যাগ করে চলে যায়। সাড়ে সাতীর পূর্ণ সময়কে আরও বেশি সঠিক ভাবে বণ্টন করে শনি তার সাড়ে সাতীর মোট ৯০ মাস অবধি চলাকালীন কেবল ২৫ মাস অশুভ পরিণাম দেয়। বাকি ৬৫ মাস কিছুটা ঠিক থাকে।
শনিকে তুষ্ট করুন।
নিজের জন্ম ছকটা ভাল করে বিচার করুন।
এই মন্ত্রটা পড়ুন, শুভ ফল পাবেন।
ওঁ রাং শনৈশ্চরায় নমঃ(২৩ হাজার বার শুদ্ধ উচ্চারণ করুন)।