বর্তমান সময়ে দাম্পত্য সম্পর্ক এমন অবস্থায় এসে ঠেকেছে যে, ছোট ছোট বিষয়ও চূড়ান্ত আকার ধারণ করতে পারে। সামান্য ভুল বিবাহিত জীবনকে তছনছ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। হয়তো দেখা যাচ্ছে, নিজের অজান্তেই ঘর এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে, তার প্রভাব অনেকটাই আমাদের বিবাহিত জীবনের ওপর পড়ছে।
বাস্তুবিদের মতে ঘর সাজানোর আগে অবশ্যই এমন কিছু বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে, যা আমাদের দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে না পারে। ঠিক সে রকম ঘরে ছবি লাগানোর আগে জানতে হবে, কোন ছবি ঘরের পক্ষে উপযুক্ত আর কোন ছবি উপযুক্ত নয়।
আরও পড়ুন: বাড়ির বাথরুমের দরজা খোলা রাখেন? জানেন এতে জীবনে কত সমস্যা আসতে পারে
দেখে নেওয়া যাক কোন ছবি ঘরে রাখা উপযুক্ত—
বিকৃত মুখোশ
বাস্তুমতে মুখোশ ঘরে রাখা একদম উচিত নয় কারণ, যা আমরা চোখের সামনে দেখি তার কিছুটা প্রতিফলন আমাদের মনের ওপর পড়ে। তাই মুখোশ যদি সব সময় চোখের সামনে থাকে, তখন আমাদের আসল সত্তাকে লুকিয়ে রেখে নকল আমি-কে বের করে আনার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। তখনই সম্পর্কে দেখা দেবে ছলচাতুরী ও কপটতা।
শিকার ও শিকারির ছবি
শিকার করার ছবি বা শিকারির শিকার করার পর উল্লাসের ছবি কোনও ভাবেই বেডরুমে রাখা যাবে না। এই ধরনের ছবি চোখের সামনে থাকলে মনের মধ্যে হিংসার সঞ্চার হবেই, এবং সেই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে সম্পর্কের মধ্যে।
যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি
যুদ্ধক্ষেত্র বা মারামারি করার ছবি ঘরে টাঙালে তার অশুভ প্রভাব ঘরের মধ্যে পড়বে এবং তার প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়ির বাসিন্দাদের ওপর পড়তে থাকে।
মৃতদেহ ও কান্নার ছবি
ঘরে মৃতদেহ ও শিশুদের কান্নার ছবি টাঙানো একেবারেই ঠিক নয়। এতে বাসিন্দাদের মনে নিরাপত্তার অভাব সৃষ্টি হয়। যা দাম্পত্য সম্পর্কের ওপরেও পড়তে পারে।
বহুগামিতার ছবি
ঘরে বহুগামিতার ছবি টাঙালে দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর বহুগামিতার প্রভাব পরার আশঙ্কা থেকে যেতে পারে।
মর্ডান আর্ট
আধুনিক শিল্পের মধ্যে খারাপ কিছু আছে এমনটা বলব না। কিন্তু মর্ডান আর্ট-এর কিছু ছবির জটিল স্ট্রোক জীবনেও জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই ধরনের ছবি ঘরে রাখা উচিত নয়।