দুর্ঘটনা বা বিপদ কখনও বলে আসে না। বিপদ ঘরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে। কোথায় কী বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তা আমরা কেউ জানি না। শত সাবধানতা সত্ত্বেও হঠাৎ করে আমাদের জীবনে বিপদ আসে এবং সব তছনছ করে দিয়ে চলে যায়। কিছু কিছু সময় আবার এমনও দুর্ঘটনা জীবনে ঘটে যা প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
আমাদের জীবনে বিপদ বা দুর্ঘটনা যাতে না হয়, তার জন্য আমরা সকলেই দেবতার কাছে প্রার্থনা করি। এমন কিছু মন্ত্র রয়েছে, এই প্রার্থনার সঙ্গে যা জপ করলে জীবনে হঠাৎ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে। এমনটা মনে করা হয়, নিয়মিত মন্ত্র পাঠ করলে সেই মন্ত্রশক্তিতে আমাদের চারপাশে একটা পজিটিভ শক্তির সুরক্ষা কবচ তৈরি হয়, যা আমাদের খারাপ ঘটনার কাছ থেকে অনেকটা রক্ষা করে।
রুদ্র মন্ত্র: এই মন্ত্রটি অতি শক্তিশালী মন্ত্র। এই মন্ত্রটি জপ করলে শুধু হঠাৎ দুর্ঘটনা নয়, শত্রু পক্ষের হাত থেকেও নিজেকে রক্ষা করা যায়। এই মন্ত্র উচ্চারণের ফলে শত্রুর খারাপ শক্তি কমে যায় এবং আপনার ভাল শক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত হাজার বার এই মন্ত্র উচ্চারণে ভীষণ ফল পাওয়া যায়।
মন্ত্র– ওম নম ভগবতে রুদ্রায়ও।
আরও পড়ুন: অনামিকায় তামার আংটি ধারণ করলে জীবনে কী কী সুফল পাওয়া যায় জানেন?
দুর্গা গায়েত্রী মন্ত্র: এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করলে মা দুর্গার আশির্বাদে সমস্ত খারাপ শক্তি দূরে সরে যায় এবং জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগে না। যদি কেউ আপনার ক্ষতি করতে চায়, তা হলেও এই মন্ত্রশক্তি সেই ক্ষতি রুখে দিতে পারে। মা দুর্গার সামনে বসে ১০৮বার এই মন্ত্রে জপ করতে হবে।
মন্ত্র– ওম মহা দেবায় চে ধীমাহি দুর্গাওই চে ধীমাহি, তান্নো দেবী প্রচোদেয়াৎ।
বগলামুখি মন্ত্র: এই মন্ত্র জপ করলে হঠাৎ দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন কমে যায়, আবার কর্মক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করে এই মন্ত্র। জীবনে বাধা দূর করে জীবনকে নিরাপদ রাখে এই মন্ত্র।
মন্ত্র– সর্বদুষ্টানাং বাচং মুখং পদং স্তংভয় জিহ্বাং কীলয় বুদ্ধিং বিনাশায় হ্লীং ঊং স্বাহা।
মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র: শাস্ত্রে বলা আছে যে, এই শিবমন্ত্রটি এত বেশি শক্তিশালী যে, হঠাৎ বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া জীবনে বিপদ হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটা কমিয়ে দেয়। নিয়মিত এই মন্ত্র উচ্চারণের ফলে শরীর ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে কোনও রোগ ব্যাধিতে সহজে কাবু করতে পারে না।
মন্ত্র– ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম। উর্বারুকমিববন্ধনান্মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ।