প্রতীকী চিত্র।
কর্মক্ষেত্রে অল্প পরিশ্রমে উন্নতি করেন কেউ। আবার অনেকে সারা দিন, বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেও উপযুক্ত মর্যাদা পান না বা পদোন্নতি করতে পারেন না। কেন এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়? এই ধরনের সমস্যার কারণ না খুঁজে পেয়ে দিশাহারা হয়ে এক সময় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এই ধরনের সমস্যা কেন ঘটে তার উত্তর দিতে পারে একমাত্র জ্যোতিষশাস্ত্র। এই ধরনের সমস্যা ঘটার কারণ একমাত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব জন্মকুণ্ডলীর সূক্ষ্ম বিচারের মাধ্যমে।
এই সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে—
চাকরি সংক্রান্ত বিচারের ক্ষেত্রে লগ্ন, লগ্নপতি, দশম স্থান, দশম পতি, ষষ্ঠস্থান, ষষ্ঠপতির বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লগ্নপতি বা দশমপতির ষষ্ঠ ক্ষেত্রে অবস্থান করলে জাতক জাতিকা চাকরির দ্বারা জীবন নির্বাহ করে। লগ্নপতি বা দশমপতি যে গ্রহ ষষ্ঠে অবস্থান করছে এই গ্রহের সঙ্গে ষষ্ঠপতির যদি সুসম্পর্ক না থাকে, সে ক্ষেত্রে যোগ্যতার মূল্য পাওয়া কঠিন। ওপরমহলের সুনজরে আসা কঠিন।
দশম ক্ষেত্রে অশুভ গ্রহের অবস্থান বা দশম ক্ষেত্রের সঙ্গে অশুভ গ্রহের দৃষ্টি সম্পর্ক। দশম ক্ষেত্র অধিপতির অষ্টম স্থানে অবস্থান। ষষ্ঠ ক্ষেত্রে কোনও শুভ গ্রহ অবস্থান করলে তার সঙ্গে অশুভ গ্রহের দৃষ্টি সম্পর্ক।
সর্বোপরি শনি গ্রহ কর্মের কারক। শনি গ্রহ অশুভ হলে উল্লিখিত যে কোনও একটি বা একাধিক সমস্যা জন্মছকে থাকলে চাকরি সংক্রান্ত সমস্যা, বিশেষত যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্য না পাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
এই ধরনের সমস্যার বিচার করার জন্য জন্মকুণ্ডলীর সূক্ষ্ম বিচার প্রয়োজন। নিজের সিদ্ধান্তে গ্রহরত্ন বা গ্রহমূল ধারণ না করে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ মত নিয়ে প্রতিকার মঙ্গলজনক।