পুজো-পাঠে মন দিয়েও লাভ হচ্ছে না? ছবি: সংগৃহীত।
আমাদের বাড়িতে সবথেকে পবিত্র স্থান ঠাকুর ঘর। বাড়ি বানানোর সময় যেমন বাস্তু টিপস বা কিছু নিয়ম মেনে চলা হয়, তেমন ঠিক করে যদি ঘর বা ঠাকুরঘর সাজানো হয়, তা হলে বাড়ি থেকে অনেক প্রকার অশুভ শক্তি নাশ হয়। ভাগ্যের চাকাও অনেকটা ঘুরে যায়। দেখে নিই ঠিক কী ভাবে ঠাকুর ঘর সাজানো উচিত।
ঠাকুরের ফুল দেওয়ার নিয়ম
যে দেবতা যে ফুলে সন্তুষ্ট হয়, সেই দেবতাকে সেই ফুলই দেওয়া উচিত। এ ছাড়া অনেকেই ঠাকুরের ফুল সন্ধ্যাবেলা সন্ধ্যা দেওয়ার সময় রেখে দেন। পরের দিন আবার পুজো দেওয়ার সময় সেই ফুল ফেলে। এ রকম করা একেবারেই উচিত নয়, শুকনো ফুল ঠাকুরের আসনে রাখতে নেই।
ঠাকুর ঘরের রং
ঘরের রঙের উপর অনেকটা মানুষের মানসিকতা শান্ত বা উত্তেজিত থাকা নির্ভর করে। ঠাকুর ঘর সবচেয়ে পবিত্র ও শান্ত ঘর। যেখানে সবাই মন শান্ত করার চেষ্টা করে। তাই এই ঘরের রং সাদা, হালকা নীলাভ বা হালকা হলুদ হওয়া উচিত।
দেব-দেবীর ছবি বা মুর্তি
আমাদের ঠাকুর ঘরে যে সকল ঠাকুরের মুর্তি বা ছবি রাখা হয়, মনে রাখতে হবে তা যেন ২ ইঞ্চি থেকে ৯ ইঞ্ছির মধ্যে থাকে, আর যদি সেটা না হয়, জানতে হবে বাড়িতে অশুভ শক্তি খুব বেশি করে বৃদ্ধি হতে থাকে। দুর্ঘটনাও বৃদ্ধি পায়। মনে রাখতে হবে, ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি মুখ উত্তর ও পশ্চিম দিকে না থাকে।
সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে ঠাকুর ঘরের কিছু নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
ছবি বা মূর্তি মুখোমুখি না হয়
ঠাকুর ঘরে মূর্তি যেন একে অপরের মুখোমুখি না থাকে। এবং একই ঠাকুরের বিভিন্ন রূপী মূর্তি যেন না থাকে। এবং আরও একটা জিনিস বিশেষ করে নজর রাখতে হবে ঠাকুরের মুর্তি বা ছবি যেন দেওয়ালে গায়ে না ঠেকে থাকে, দেওয়াল ঠেকে একটু দূরে রাখতে হবে।
ঠাকুর ঘরে প্রদীপ রাখার নিয়ম
ঠাকুর ঘরে প্রদীপের মুখ সব সময় পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মুখ করে রাখতে হবে। এবং প্রদীপ কোনও মতেই মাটিতে রাখা যাবে না।
ঠাকুর ঘরের প্রবেশদ্বার
অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে প্রবেশদ্বার দিয়ে যেন খুব ভাল ভাবে সূর্যের আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। ঠাকুর ঘরের দরজা যেন লোহার তৈরি না হয়। এবং ঠাকুর ঘরের দরজা যেন আপনা-আপনি বন্ধ না হয়ে যায়। বন্ধ করলেই যেন বন্ধ হয়। এতে বাড়িতে শুভ শক্তি বৃদ্ধি হয়।