কম খরচে বিশেষ কিছু টোটকা করলে মিলবে নানা সমস্যার সমাধান। ছবি: শাটারস্টক।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই গ্রহের প্রভাব রয়েছে। তা সেই প্রভাব শুভ হোক কিংবা অশুভ। গ্রহের অশুভ প্রভাবের ফলে অনেকের জীবনে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য কিছু টোটকার উল্লেখ আছে। অশুভ গ্রহের প্রতিকারের জন্য সর্বাধিক প্রচলিত একটি পন্থা হল গ্রহরত্ন ধারণ। গ্রহ রত্ন ধারণ ছাড়াও গ্রহ মূল, গ্রহ ধাতু এবং রুদ্রাক্ষ ধারণ, গ্রহের রঙের ব্যবহার, গ্রহের মন্ত্র পাঠ, গ্রহের হোমযোগ্য, গ্রহের দেবতা এবং অধি দেবতার পূজা পাঠের উপায়েও গ্রহের প্রতিকার করা যেতে পারে । এ ছাড়া সামান্য কিছু নিয়ম এবং জীবনধারার কিছু পরিবর্তনে বিনা খরচে বা খুব অল্প খরচে অশুভ গ্রহের প্রতিকার করা সম্ভব।
অশুভ গ্রহের প্রতিকারে কোন নিয়মগুলি পালন করবেন?
রবির প্রতিকারের জন্য রোজ সূর্য প্রণাম করুন।
চন্দ্রের প্রতিকারের জন্য মা এবং গৃহের বয়স্ক মহিলাদের সেবা করুন। একসঙ্গেই রুপোর পাত্রে জল ও দুধ পান করুন।
মঙ্গলের প্রতিকারের জন্য হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন এবং লাল বা কমলা রঙের পোশাক বেশি পরুন।
বুধের প্রতিকারের জন্য শ্রী বিষ্ণু, শ্রী গণেশের পূজো করুন এবং সবুজ রঙের পোশাক বেশি পরুন।
বৃহস্পতির প্রতিকারের জন্য ব্রাহ্মণ সেবা করুন এবং হলুদ রঙের পোশাক বেশি পরুন।
শুক্রের প্রতিকারের জন্য সব সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। গৃহের মহিলা সদস্যদের যত্নশীল হোন। সাদা পোশাক বেশি ব্যবহার করুন।
শনির প্রতিকারের জন্য গৃহের বয়স্কদের সেবা করুন এবং তাঁদের খুশি রাখুন। পারলে দেবী দক্ষিনা কালি এবং শনি মহারাজের পুজো করুন। এবং নীল রঙের পোশাক বেশি ব্যবহার করুন।
রাহুর প্রতিকারের জন্য দেবী দুর্গার পূজো করুন। এরই সঙ্গে সামর্থ অনুযায়ী দুঃস্থদের দান এবং সেবা করুন।
কেতুর প্রতিকারের জন্য শ্রী গণেশের পুজো করুন।