প্রথমত মাথায় রাখবেন, যে কোনও রত্ন তিন মাস পরে ফল দেয়। উপরত্ন ফল দেয় ছয় মাস পরে। বিভিন্ন রত্ন কীভাবে চেনা যায় দেখে নেওয়া যাক—
মুক্তো চেনার উপায়
মুক্তোকে কাঠের ওপর ফেললে ধাতব শব্দ হয়।
মুক্তোর আয়ুবের্দিক শোধন
জয়ন্তী পাতার রস মিশ্রিত জলে চব্বিশ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে শোধনের জন্য।
মুক্তোর প্রাপ্তিস্থান
ঝিনুকের পেটে মুক্তা জন্মায়। তবে সব ঝিনুকে মুক্তো থাকে না। প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে, মাসেল্ শ্রেণির ঝিনুকের পেটে মুক্তো হয়। এর রাসায়নিক উপাদান হল কনকায়োলিন ক্যালসাইট এবং ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। খাওয়ার সময় ঝিনুক যখন খোলা ফাঁক করে, তখন যদি বালির কণা বা অন্য কোনও কঠিন পদার্থের চূর্ণ তার দেহের মধ্যে খোলার ফাঁক দিয়ে ঢুকে যায় এবং চেষ্টা সত্ত্বেও সেটি বেরিয়ে না যায়, তখন এই কণাটির জন্য ঝিনুকের দেহে প্রদাহ বা জ্বলনের সৃষ্টি হয়। তখন ঝিনুকের অঙ্গ থেকে সাদা ঘন আঠালো রস ক্ষরিত হয়ে বহিরাগত কণাটিকে বেষ্টন করে স্তরে স্তরে জমাট বাঁধতে থাকে। এই জমাটি বস্তুকেই মুক্তো বলে।
পারস্য উপসাগরে ঝিনুকের পেটে যে মুক্তো জন্মায় তাকে বসরাই মুক্তো বলে। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তো। এর দামও অনেক বেশি। মায়ানমারে ইরাবতী নদীতে ঝিনুকের পেটে যে মুক্তো হয় তাকে বার্মিজ মুক্তো বলে। এটিরও বেশ দাম। তবে তা বসরাই মুক্তোর চেয়ে সস্তা।
এ ছাড়া চিন সাগর ও জাপানে মুক্তোর চাষ হয়। এই চিনা ও জাপানি মুক্তোর গুণ অল্প, ফলে দামও কম। চন্দ্রের প্রতিকারে শ্বেত মুক্তো ধারণ খুবই কার্যকরী।
উপরত্ন – মুনস্টোন, ওপাল।