ফেংসুই মতে পাঁচটা বেসিক এলিমেন্ট হল (১) কাঠ, (২) অগ্নি, (৩) মাটি, (৪) ধাতু ও (৫) জল। রান্নাঘরের ক্ষেত্রে এইগুলির মধ্যে ব্যালেন্স রেখে সব কিছু সাজাতে হবে। এখানে ১২ট টিপসের মাধ্যমে তার আলোচনা করা হল-
(১) রান্নাঘর থাকতে হবে হয় পূর্ব দিকে নতুবা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। এই দিকে রান্নাঘর থাকা সবদিক থেকে উপযুক্ত।
(২) রান্নাঘরের ভিতরের রঙের একটা বিশেষ গুরুত্ব আছে কারণ এটা বাড়ির মধ্যে সব থেকে উষ্ণ জায়গা। তাই এই ঘরের রঙ হওয়া উচিত উজ্জ্বল কিন্তু হালকা।
(৩) রান্নাঘরের ওভেন এমন ভাবে রাখা উচিত যে, রান্না করার সময় মূখ যেন পূর্ব দিকে থাকে।
(৪) রান্নার জন্যে যে স্ল্যাবটি ব্যবহার হয়ে থাকে, তা যেন সবুজ রঙের হয়। সবুজ রং কাঠের প্রতীক। ফেংসুই মতে যা ব্যালেন্স করবে বায়ুকে।
(৫) রান্নাঘরের উত্তর দিকে জল বা জলের ফ্লিটার রাখা যেতে পারে। আর সিঙ্কও এই দিকে রাখা যায়। দেখতে হবে, সিঙ্ক যেন সব সময় পরিষ্কার থাকে।
(৬) সিঙ্ক এবং গ্যাস কখনও বিপরীত অবস্থায় রাখা যাবে না। ফেংসুই মতে এরা বিপরীতধর্মী।
(৭ ) রেফ্রিজেরেটর রান্নাঘরের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ জিনিস। ফ্রিজ রাখতে হবে পশ্চিম দিকে।
(৮) মাইক্রোওভেন-সহ অন্যান ইলেক্ট্রিক্যাল গ্যাজেট রাখতে হবে রান্নাঘরের দক্ষিণ দিকে।
(৯) রান্নাঘরে যেন কোনও পূজার বেদি বা পুজার কোনও সামগ্রী না থাকে।
(১০) রান্নাঘরে যদি খাওয়ার টেবিল থাকে, তবে তা রাখতে হবে ঘরের পশ্চিম বা উত্তর পশ্চিম কোণে।
(১১) দেখতে বেশ সুন্দর ও নানা ডিজাইনে তৈরি চিনামাটির বাসন-পত্র কিচেনের ভিতর দক্ষিণ পশ্চিম দিকে রাখতে হবে কারণ এই সকল জিনিসপত্র ফেংসুই মতে মাটির অধীনে।
(১২) ফেংসুই মতে রান্নাঘরের সকল জিনিসপত্র কার্যকর অবস্থায় রাখতে হবে। না হলে নেগেটিভ প্রভাব তৈরি হবে যা কাঙ্খিত নয়।