প্রতীকী ছবি।
শীতকালে ঘুম থেকে উঠতে সকলেরই কমবেশি কষ্ট হয়। কম্বলের তলার আরমাদায়ক বিছানা ছেড়ে ঠান্ডার মধ্যে উঠে স্নান-খাওয়া করে কাজে বেরোনো বেশ কঠিন। তবে এক বার বেরিয়ে পড়তে পারলে বিষয়টা অনেত সহজ হয়ে যায়। যখন রাস্তায় বেরোলে শীতের মিঠে রোদ গায়ে লাগে তখন আলসেমি কেটে গিয়ে মন খুশিতে ভরে যাওয়ারই কথা। কিন্তু অনেকের তা হয় না। সারা দিনই যেন ক্লান্ত লাগে। হাত-পা নড়তে চায় না। হাঁটাচলা করতেই শরীর শক্ত হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষ এটা ঠান্ডার দোহাই দিয়ে উড়িয়ে দেন। কিন্তু সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগা কোনও শারীরিক জটিলতার লক্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটলেও আলসেমি বেশি চেপে ধরা স্বাভাবিক।
শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলেও সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগতে পারে। একটুতেই আলস্য চেপে ধরতে পারে। শীতে অনেক সময়ে আমরা উৎসবের মেজাজে শুধু কেক-পেস্ট্রি-পিঠেপুলি-ওয়াইনে মেতে যাই। কিন্তু তাতে শরীরে পুষ্টির অভাব হতেই পারে। তাই একটু খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলে এই সমস্যা কমতে পারে। তার জন্য শীতকালের ডায়েটে এমন খাবার রাখতে হবে যা থেকে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পায়। জেনে নিন সেগুলি কী।
প্রতীকী ছবি।
মাছ
কাঁকড়া, চিংড়ির মতো সামুদ্রিক খাবার ছাড়াও যে কোনও মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই মাছ রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়।
বীজ
খিদে পেলে মুখ চালানোর জন্য ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ দারুণ উপকারী। আবার শুধু মুখে খেতে ভাল না লাগলে কোনও স্যালাড বা ডাল-তরকারিতেও দিয়ে দিতে পারেন।
প্রতীকী ছবি।
চিকেন
লিন প্রোটিন বা চিকেনে ‘হেম আয়রন’ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা সাধারণ আয়রনের চেয়ে অনেক দ্রুত হজম করতে পারে আমাদের শরীর। শীতের মরসুমে স্যুপ, স্ট্যু, রোস্ট চিকেন, চিকেন কবাব, চিলি চিকেন— নানা রকম পদ তৈরি করে খেতে পারেন।
সবুজ শাক-সব্জি
শীত সব্জি খাওয়ার সেরা সময়। বাজারে এ সময়ে অনেক টাটকা সব্জি পেয়ে যাবেন। পালং শাক, কলমির শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ সব্জি খান। ভাপিয়ে নিয়ে স্যালাডে দিতে পারেন। আবার নানা রকম তরকারি বানিয়েও খেতে পারেন। স্যান্ডউইচের পুড় হিসেবেই ব্যবহার করতে পারেন নানা রকম সব্জি।
ড্রাই ফ্রুট
শরীরে স্ফূর্তি আনতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট দারুণ কাজে দেয়। বিকেলের দিকে চায়ের সঙ্গে কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। আবার শীতকালে সকালে ঘুম ভাঙার পরই যদি একমুঠো খেয়ে নেন, তা হলেও আলসেমি অনেকটা কেটে গিয়ে শরীরে স্ফূর্তি ফিরে পাবেন।