অস্ত্রোপচারের ক্ষত শুকাতে অনেক সময় দেরি হয়। ছবি: সংগৃহীত
বছর পঁয়ত্রিশের আত্রেয়ী বেশ কয়েক মাস ধরে ‘অ্যাপেনডিক্স’-র যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলেও পেটের ক্ষত শুকাতে দেরি হচ্ছিল। আত্রেয়ী প্রাথমিক ভাবে খানিক আশঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। কী করা উচিত বুঝতে পারছিলেন না। তবে ডাক্তারের পরামর্শে ‘হিলিং ডায়েট’ শুরু করার পর অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান।
আত্রেয়ীর মতো অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাঁদের জন্য রইল ‘হিলিং ডায়েট’-এর হদিশ।
বেরি জাতীয় ফল
ষ্ট্রবেরি, ব্লু বেরি জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরের ক্ষত নিরাময় করতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অপরিহার্য। অস্ত্রোপচারের পরে প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। এ ছাড়া বেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের ক্ষতিগ্রস্থ কোষ মেরামত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে ওঠে।
অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ে দ্রুত সেরে উঠতে খাদ্যাতালিকায় খানিক পরিবর্তন আনা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
শাকসব্জি
অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ে দ্রুত সেরে উঠতে খাদ্যাতালিকায় খানিক পরিবর্তন আনা জরুরি। শাকসব্জিতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ক্ষতস্থান শুকাতে সহায়তা করে। তবে নানা সব্জির ভিড়ে কোনগুলি এই সময় জরুরি তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। গাজর, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু, বাঁধাকপি হল কার্বোহাইড্রেটের সমৃদ্ধ উৎস। কার্বোহাইড্রেট ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাছা়ড়া এই সময় শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়। এই সব্জিগুলিতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ও ফাইবার শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখে।
ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার
ফ্যাট মানেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। উপকারী ফ্যাটও রয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, বাদামে রয়েছে ভরপুর ফ্যাট। এসব খাবার প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এবং সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে।
মাংস
সুস্থ জীবনযাপন করতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখাটা অপরিহার্য। শরীরে কোনও অস্ত্রোপচার হলে খাদ্যতালিকায় উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন ও আয়রন রাখাটা জরুরি। অস্ত্রপচার হলে শরীরের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পেশি সুস্থ ও সবল রাখতে মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, বিনস, মুসুর ডাল, ডিম, বাদামের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।