ফ্যাটি লিভার থাকলে কোন ব্যায়ামগুলি করলে সুফল পাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন বাড়লে যে শারীরিক সমস্যাগুলির ঝুঁকি তৈরি হয়, ফ্যাটি লিভার তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, শারীরিক কসরতের অভাবেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। প্রত্যেকেরই লিভারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি থাকে। কিন্তু চর্বির পরিমাণ যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তাহলে মুশকিল। অত্যধিক মদ্যপান করলে তো বটেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল, ফ্যাট জাতীয় উপাদান বেশি খেলেও এই রোগ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। তবে যে কারণেই ফ্যাটি লিভার হোক, এক বার যদি ধরা পড়ে তাহলে নিয়মে বাঁধতে হয় দৈনন্দিন জীবন। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা ছাড়াও জারি রাখা জরুরি শরীরচর্চাও। ফ্যাটি লিভারে ভুগলে কোন ব্যায়ামগুলি করতে বাড়াবাড়ি হবে না?
ধনুরাসন
পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু এবং ঊরু উঠে আসবে। তলপেট এবং পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।
ভুজঙ্গাসন
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান।
ত্রিকোণাসন। ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিকোণাসন
প্রথমে দু’টি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দু’টি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুলকে স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু দু’টি ভাঙা চলবে না। দশ অবধি গুনুন। এ বার দু’টি হাত না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ৩ বার এই আসনটি করুন।