কোলেস্টেরল বাড়লেও সুস্থ থাকার উপায় আছে। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে যে ক্রনিক সমস্যাগুলি জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে শরীরে, কোলেস্টেরল তার মধ্যে অন্যতম। অত্যধিক হারে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাকহারের উপর। কারও যদি রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। যে কারণেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকুক, নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কোলেস্টেরল বশে রাখতে কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ খান অনেকেই। তা সত্ত্বেও সুস্থ থাকা সম্ভব হয় না। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। তাই যে বয়সেই কোলেস্টেরল ধরা পড়ুক, সাবধানে থাকতে হবে। জীবনযাপনে বদল আনার পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চাও করতে হবে। কয়েকটি যোগাসন যদি মন দিয়ে রোজ করতে পারেন, কোলেস্টেরল অনেকটা বশে থাকবে।
ত্রিকোণাসন ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিকোণাসন
প্রথমে দু’টি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দু’টি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুলকে স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু দু’টি ভাঙা চলবে না। দশ অবধি গুনুন। এ বার দু’টি হাত না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ৩ বার এই আসনটি করুন।
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন।
তাড়াসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। শ্বাস নিন। হাত দুটোকে উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এ বার আঙুল দিয়ে দুটো হাত জড়ান। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর দুটো হাত নিয়ে যান। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি থেকে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রাখুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালির নীচে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। দু’বার করতে পারেন এই ব্যায়াম।