কাউকে হাই তুলতে দেখলেও অসচেতন ভাবেই হাই উঠে যায়। ছবি: সংগৃহীত
এক জনকে দেখে অন্য জনের হাই তোলার ঘটনা খুবই সাধারণ। বাসে, ট্রেনে, ট্রামে, রাস্তাঘাটে কেউ হাই তুললেই অন্য জনও হাই তুলে তার প্রতিক্রিয়া জানান। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন এমন হয়? জনমানসে এ নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত থাকলেও তার বেশির ভাগটাই কল্পনা। বৈজ্ঞানিক কোনও ভিত্তি নেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, এরকম হওয়ার কারণ মূলত শরীরে মিরর নিউরোনের উপস্থিতি। অনেক সময়ে দেখা যায় অন্য কাউকে আঘাত করলে, শারীরিক ভাবে না হলেও মানসিক ভাবে ব্যথা অনুভূত হয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ তো আসলে দলবদ্ধ জীব। তাই সব সময়ে দলগত ভাবে চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করতে ভালবাসে।
বাসে, ট্রেনে, ট্রামে, রাস্তাঘাটে কেউ হাই তুললেই অন্য জনও হাই তুলে তার প্রতিক্রিয়া জানান। ছবি: সংগৃহীত
প্রাচীনকাল থেকেই এই ধারা চলে আসছে। কাউকে ঘুরতে যেতে দেখলে তখনই ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। ঘুমতে দেখলেও ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। একই কারণে হাই তুলতে দেখলেও অসচেতন ভাবেই হাই উঠে যায়।
জুরিখে এক দল শিম্পাঞ্জির উপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল। এক জন শিম্পাঞ্জির হাই তোলার ভিডিয়ো তুলে অন্য এক দল শিম্পাঞ্জিকে তা দেখানো হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিম্পাঞ্জির হাইয়ের ভিডিয়ো দেখে বাকি শিম্পাঞ্জিদেরও হাই ওঠে। একে ‘মিররিং বিয়েভিয়ার’ বলা হয়। গবেষকরা বলছেন, এই দেখা দেখি হাইয়ের জন্য দায়ী একমাত্র মিরর হরমোন। যে হরমোনের উপস্থিতি মানুষের শরীরে আছে।