এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। প্রতীকী ছবি।
শরীরে জলের জোগান পর্যাপ্ত রাখতে যে ফলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তার মধ্যে অন্যতম শসা। ওজন কমানো থেকে শুরু করে পেট ভাল রাখা— সবেতেই দারুণ ভূমিকা পালন করে শসা। হজমের গোলমাল কমাতে শসার জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্যসচেতন যাঁরা, সারা বছর তাঁরা ডায়েটে শসা রাখেন। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীর ভিতর থেকে সজীব এবং চনমনে রাখতে সহায়তা করে।
অনেকেরই খাওয়ার পাতে শসা থাকে। স্যালাডে তো শসার ভূমিকা অন্যতম। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শসা নিঃসন্দেহে উপকারী একটি ফল। কিন্তু রান্না করা খাবারের সঙ্গে কাঁচা শসা খাওয়া শরীরের জন্য ঠিক নয় বলেই মতে পুষ্টিবিদদের। খাবারের সঙ্গে শসা খেলে ওজন কমবে, এই ধারণাও ভুল বলে মনে করেন তাঁরা। আসলে রান্না করা খাবারের সঙ্গে কাঁচা কোনও সব্জি বা ফল খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে পরিপাকক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। রান্না করা খাবার হজম করতে যে সময় লাগে, কাঁচা খাবার হজম করতে স্বাভাবিক ভাবেই তার চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাপের সংস্পর্শে আসার ফলে যে কোনও খাবারে থাকা উপাদানগুলির কিছুটা বদল ঘটে। কিন্তু কাঁচা ফলে স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলি অবিকৃত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। ফলে এই দুই ধরনের উপাদান একসঙ্গে মিলিত হলে নানা রকম সমস্যার জন্ম নেয়।
কাঁচা শসা খেলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতীকী ছবি।
কাঁচা শসা খেলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খাবারের সঙ্গে খেলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বদহজম হতে পারে। পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। শসা খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। বাড়তি সুবিধা পেতে সেগুলি মেনে চলা জরুরি। শসা খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। শসার খোসা ছাড়ানোর সময়ে প্রান্তটি ঘষে নেওয়া জরুরি। শসাতে থাকা দুধ সাদা ক্ষতিকারক কিউকারবিটাসিন বেরিয়ে যায়।