অনেকেরই রোজের ডায়েটে নানা ধরনের ফল থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের খেয়াল রাখতে ফলের জুড়ি মেলা ভার। ভিতর থেকে শরীরের দেখভাল করতে মরসুমি ফলের জুড়ি মেলা ভার। ফলের উপকারিতা নিয়ে বলা বাহুল্য। নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদানে সমৃদ্ধ ফল শরীর সুস্থ রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমানোর চেষ্টা যাঁরা করছেন, তাঁদের রোজের খাদ্যতালিকায় ফল রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফলে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের মেদ জমতে দেয় যায় না। ফলের রয়েছে বহুমুখী গুণ। ত্বকের যত্নেও ফলের ভূমিকা অনবদ্য। মোট কথা শরীরের খেয়াল রাখতে ফলের বিকল্প নেই।
তার উপর শীতকালে বাজার ছেয়ে যায় নানা ধরনের মরসুমি ফলে। অনেকেরই রোজের ডায়েটে নানা ধরনের ফল থাকে। এমনিতেই ফল নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে ফল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলি না মানলে ফল খেয়েও লাভ হয় না। সকালের জলখাবারে ফল খান অনেকেই। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সকালে ফল খাওয়ার অভ্যাস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। জলখাবার খাওয়ার সাধারণ সময় মূলত সকাল ৬টা থেকে ১০টা। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সারা রাত পেট খালি থাকে। খালি পেটে ফল খাওয়া মোটেই ভাল অভ্যাস নয়। ফলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশ খানিকটা। এ ছাড়া এতে কার্বোহাইড্রেটও থাকে। খালি পেটে এই দু’টি উপাদান গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
খালি পেটে ফল খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও ফলেই জলের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই ফল খুব ঠান্ডা হয়। অন্য দিকে, সকালের দিকে সূর্যের তেজ বেশি থাকে। তাপমাত্রার পারদ একটু বেশি থাকে। এই সময়ে ফল খেলে ঠান্ডা-গরমে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে সকালের দিকে ফল খাওয়ার অভ্যাস যদি দীর্ঘ দিনের হয়, সে ক্ষেত্রে তা বদলে ফেলার কোনও কারণ নেই। খাওয়াদাওয়া একটু বদল আনলেই হবে। সকালে ফল খাওয়ার আগে ভারী কোনও খাবার খান। ডালিয়া, ওট্স, খিচুড়ি জাতীয় কোনও খাবার খান। পেট ভর্তি হলে তবে ফল খেতে পারেন। পরিমাণে অল্প হলেও ফলে অ্যাসিড রয়েছে। খালি পেটে ফল খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিংবা ফলের সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। হজমের সমস্যা হওয়ার কথা আশঙ্কা থাকবে না।