(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মোহন ভাগবত (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হয়েছে। দেশের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সরসঙ্ঘচালকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠক করেছেন। ফলে পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে নীতিগত আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর থেকেই রাজধানীতে একের পর এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ সরকার এবং বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষকর্তারা দফায় দফায় আলোচনায় বসছেন। মঙ্গলবার রাতে রাজনাথ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সিডিএস অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে মোদী বৈঠক করেন নিজের বাসভবনে। সূত্র মারফত জানা যায়, সে বৈঠকে বাহিনীর প্রস্তুতি এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য তিন বাহিনীকেই মোদী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেন। ঠিক তার পরেই ভাগবতের সঙ্গে মোদীর বৈঠক শুরু হওয়ায় সে বৈঠকের আলোচ্য নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। মোদী এবং ভাগবতের বৈঠকে শাহও উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা বা বৈঠক করতে তাঁর বাসভবনে ভাগবত খুব কমই গিয়েছেন। এ দিন তাঁর সঙ্গে মোদীর কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউই কিছু বলেননি। কিন্তু সূত্রের দাবি, পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার কঠোর নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল আরএসএস। এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া জরুরি বলেও সরসঙ্ঘচালক ভাগবত মন্তব্য করেছিলেন। গোটা দেশে সামাজিক সংগঠন হিসেবে ছড়িয়ে থাকা আরএসএসকে যে হেতু বিজেপির আদর্শগত পথপ্রদর্শক মনে করা হয়, সে হেতু ভাগবতের ওই মন্তব্যকে মোদীর সরকার যে গুরুত্ব দিয়েই নেবে, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ কমই ছিল। মঙ্গলবার রাতে শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেওয়ার পরে ভাগবতের সঙ্গে মোদী বৈঠকে বসায় অনেকেই এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন।