Sweet Craving

সন্ধে হলেই ঘন ঘন চা-কফি খান? মিষ্টি খেতেও সাধ জাগে? কী সমস্যা হতে পারে জেনে রাখুন

সূর্য ডোবার পর যদি ‘সুইট ক্রেভিং’ শুরু হয়, আর আপনিও দেদার মিষ্টি দিয়ে চা-কফি বা মিষ্টি খেয়ে ফেলেন, তা হলে ঘুমের বারোটা তো বাজবেই, শরীরও খারাপ হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৫
Share:

সন্ধে মানেই এক কাপ চা, বা এক পেয়ালা কফি, ভাল না খারাপ? ছবি: ফ্রিপিক।

সারাদিনের পরিশ্রম তার উপর মেজাজ ভাল না থাকলে বা আলস্য বোধ করলে টুকটাক কিছু খেতেই মন চায়। আর এই টুকটাকের মধ্যে মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি তো পছন্দের তালিকায় উপরেই থাকে। তবে মিষ্টির প্রতি এই অদম্য আকর্ষণ কিন্তু প্রভাব ফেলতে শরীরে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, সূর্য ডোবার পর যদি ‘সুইট ক্রেভিং’ শুরু হয়, আর আপনিও দেদার মিষ্টি দিয়ে চা-কফি বা মিষ্টি খেয়ে ফেলেন, তা হলে ঘুমের বারোটা তো বাজবেই, শরীরও খারাপ হবে।

Advertisement

চা ও কফি মূলত উত্তেজক পানীয়। প্রতি দিন এই ধরনের নির্দিষ্ট সময় ধরে খেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। ক্যাফিনের প্রতি আসক্তি জন্মানোও বিস্ময়কর নয়। আর প্রতি দিন চা বা কফি খাওয়া শরীরের জন্যও ভাল নয়। সন্ধে থেকে রাতের মধ্যে শরীরে বিপাকের হার ক্রমশ কমতে থাকে। তাই এই সময়ে ভারী খাবার বেশি না খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়। সন্ধের দিকে যদি বার বার চা বা কফি খেতে থাকেন, তা হলে মিষ্টির প্রতি আসক্তি আরও বাড়বে। কারণ কফির ক্যাফিন এই আসক্তি বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে। চিনি বাদ দিয়ে লাল চা খান বা চিনি বাদে কালো কফি— কোনওটাই একটানা খাওয়া উচিত নয়।

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায় রোজ চা বা কফি ফেলে। বরং গ্রিন টি যদি খেতে পারেন, তা হলে তা কিছুটা উপকার দেয়। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মতে, সন্ধে বেলা হলেই চায়ের নেশা হয় অনেকের। এই সময়তে বরং জল খান। অথবা ফল খেতে পারেন। আপেল, ন্যাসপাতি, আনারসের মতো ফল খাওয়া যেতেই পারে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোট রাখুন হাতের সামনে। তবে ওজন খুব বেশি হলে খেজুর বা কিসমিস খাবেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement