আখরোট খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? ছবি: শাটারস্টক।
অন্য বাদামের চেয়ে কোনও অংশে নয় আখরোটের। এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। রয়েছে প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়ামের মতো আরও নানা খনিজ পদার্থ। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। অর্থাৎ, আখরোট খেলে শরীরে নানা ধরনের উপাদান যায়।
আখরোট দিয়ে তৈরি কেক, মাফিন, ব্রাউনি খেতে অনেকেই ভালবাসেন। তবে রোজের ডায়েটে কেন আখরোট রাখা জরুরি, সে খবর রাখেন কি? চিকিৎসকরা বলেন, ক্যানসার থেকে হার্টের অসুখ, সবই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আখরোট। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতেও জুড়ি মেলা ভার এই বাদামের। জেনে নিন কেন পুষ্টিবিদেরা নিয়ম করে আখরোট খাওয়ার পরামার্শ দেন।
১) হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এই ফ্যাটি অ্যাসিড দারুণ কাজ করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে রক্তচাপও বাগে রাখা সম্ভব, ফলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে উপকারী। ছবি: শাটারস্টক।
২) মস্তিষ্ক সচল রাখে: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার ফলে আখরোট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। নিয়ম করে আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, নিউরোলজিক্যাল ডিজ়অর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
৩) হজমশক্তি বাড়ায়: আখরোটে ফাইবারও থাকে ভাল মাত্রায়। ডায়েটে ফাইবার রাখলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। পাকস্থলীতে হজমে সাহায্যকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলি তৈরি হয়। এই ব্যাক্টেরিয়াগুলি পেট ভাল রাখে, পেটের সংক্রমণ দূর করতেও সাহায্য করে।
৪) ক্যানসার প্রতিরোধে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আখরোটে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অন্যান্য কিছু রাসায়নিক থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষ কয়েক প্রকার ক্যানসার ঠেকিয়ে রাখতে আখরোট দারুণ উপকারী।
৫) শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে: ওমেগা ৩-ফ্যাটি অ্যাসিড ও আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আখরোট। এ ছাড়াও আখরোটে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস থাকে। পুরুষদের বন্ধ্যত্বের সমস্যা হ্রাস করতে এই সব উপাদন বেশ উপকারী। বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে আখরোট।