উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে থাকুক রসুন।
সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুনেই নাকি জব্দ হয় একাধিক রোগবালাই! প্রতি দিনের অনিয়ম, যখন-তখন ডায়েট ভাঙার কুপ্রভাব অনায়াসেই নাকি ঢেকে দিতে পারে এই সব্জি। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এত সব্জি থাকতে খালিপেটে রসুনের নিদানই বা কেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জি শরীরের পক্ষে সত্যিই উপকারী। খালি পেটে রসুন খেলে শরীর দূষণমুক্ত হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বিপাকহার একটু বেশি থাকে। তাই খালিপেটে এই সব্জি খেলে যেমন ওজন ঝরে দ্রুত, তেমনই ‘লাইফস্টাইল ডিডিজ’-এর কবল থেকে বাঁচতেও এর কোনও জুড়ি নেই।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হার্টের অসুখ প্রতিরোধ— সবেতেই রসুনের অবাধ উপকার। কেন ডায়েটে এই সব্জি রাখবেন, রইল তারই হদিস।
১) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই সব্জি রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও রাখতেও সাহায্য করে রসুন। সকালে খালিপেটে রসুনের কোয়া খেলে শরীরের দূষিত পদার্থগুলি মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
২) ক্রনিক ঠান্ডা লাগার অসুখ যাঁদের রয়েছে, খালিপেটে এক কোয়া রসুন তাঁদের জন্য বেশ উপকারী। এক টানা দু’সপ্তাহ সকালে রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেকটা কমে।
প্রতীকী ছবি।
৩) হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে রসুন বিশেষ কার্যকর। হৃদ্স্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে ও হৃদ্পেশির দেওয়ালে চাপ কমাতে কাজে আসে এই সব্জি। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে থাকুক এই সব্জি।
৪) যকৃত ও মূত্রাশয়কে ঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে রসুন। এ ছাড়া পেটের নানা গোলমাল ঠেকাতে, হজমের সমস্যা মেটাতেও রসুন উপকারী। বিপাকহার বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে রসুন।
৫) কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ— যেমন ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি প্রতিরোধেও রসুনের ভূমিকা অনেক।