জিম থেকে ফিরে প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম। প্রতীকী চিত্র।
কঠিন শরীরচর্চা শুরু করার আগে ‘গা গরম’ করা জরুরি। ঠিক তেমন ভাবেই শারীরিক কসরত করার পর দেহকে আবার আগের ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরচর্চা করার পর স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায় হৃৎপিণ্ডের গতি। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে রক্তচাপ এবং রক্ত সঞ্চালনও। সঙ্গে কঠিন ব্যায়ামের ফলে দেহের বিভিন্ন অংশে পেশিগুলিতেও ব্যথা হয়। এ ছাড়াও এক দিন পরিশ্রম করে যে পরিমাণ শক্তি ক্ষয় হল, তার পর বিশ্রাম না নিলে পরের দিন ওই ব্যথার উপর আবার ব্যায়াম করা মুশকিল হয়। এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীরচর্চার পর উত্তপ্ত দেহকে ঠান্ডা করা জরুরি।
যোগব্যায়াম প্রশিক্ষকদের মতে, শরীরচর্চা করার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সব দিক থেকেই ক্ষতিকর। কারণ, শরীরচর্চা করার সময় হার্টরেট বেড়ে যায়। দুরন্ত গতিতে থাকা যে কোনও কিছুই হঠাৎ করে স্তব্ধ হয়ে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। তাই তাকে ধীরে ধীরে সাধারণ ছন্দে ফিরিয়ে আনতে হয়।
এ ছাড়াও কঠিন পরিশ্রম করার পর দেহের পেশিগুলি তুলনামূলক ভাবে শক্ত হয়ে যায়। ব্যথাও হয়। এই ব্যথা নিয়ে পরের দিন আবার ব্যায়াম করার মতো অবস্থা থাকে না। তা ছাড়া পেশিতে আঘাত লাগার সম্ভাবনাও থাকে। তাই বিশ্রাম জরুরি।
শরীরচর্চা করার পর, দেহ এবং মনকেও শান্ত করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি শরীরের ক্লান্তি কাটানো যায়, তত তাড়াতাড়ি মনও নিজের ছন্দে ফিরে আসতে পারে।
প্রশিক্ষকদের মতে, ব্যায়ামের একটি ধরন থেকে অন্য আরও একটি ধরনে যাওয়ার আগে অন্তত পক্ষে ৫ মিনিট বিশ্রাম নিলে ভাল। ব্যায়াম করার সময় পায়ের পেশিতে টান ধরার মতো সমস্যা অনেকটাই দূর করা যায়। এই রুটিন মেনে প্রতিটি ব্যায়াম করতে পারলে ব্যায়াম সংক্রান্ত কারণে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। সঙ্গে শরীরের কমনীয়তাও ফিরে আসে।
সাধারণত স্ট্রেচের পর ১০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়াই যথেষ্ট। তবে কার শরীরের অবস্থা কেমন, তা বুঝে বিশ্রামের সময় কম-বেশি করা যেতেই পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই একটি করে ভঙ্গি করার পর কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিতে হয়। আবার অনেককেই বিভিন্ন রকম স্ট্রেচের সব ক’টি ভঙ্গি সম্পূর্ণ করার পর, আরও কঠিন ব্যায়াম শুরু করার আগে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।