আপনার নুনে কি আয়োডিন আছে? ছবি: সংগৃহীত
শুধু ভারতই নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই আয়োডিনের ঘাটতি খুব বড় সমস্যা। এই অঞ্চলের মাটিতে আয়োডিনের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম। ফলে পানীয় জল কিংবা উদ্ভিজ্জ খাবার, সবেতেই এই মৌলের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
আয়োডিন কতটা জরুরি?
থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়োডিন। আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড বা গয়টার রোগ হয়ে থাকে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর শরীরে আয়োডিনের ঘাটতির ফলে অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত কিংবা বিকলাঙ্গ সন্তান প্রসবের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তা ছাড়া শিশুর মস্তিষ্ক ও দেহের বিকাশেও এই মৌল অত্যন্ত জরুরি। আয়োডিনের অভাবে স্নায়বিক দুর্বলতা, বধিরতা, বাকশক্তিহীনতা, মানসিক প্রতিবন্ধকতা, বামনত্বের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আয়োডিনের অভাব থাকলে শিশুর মস্তিষ্ক গঠন ও মানসিক বিকাশও ব্যাহত হয়। পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে মাথার চুল কমে যাওয়া, মনোযোগের অভাব, স্মরণশক্তি হ্রাস পাওয়া ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
এই সব কারণের কথা মাথায় রেখেই ১৯৬২ সালে ভারতে খাদ্যলবণে আয়োডিন মেশানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যা গোটা বিশ্বে এক নজির। উদ্যোগটির নাম দেওয়া হয়, ‘ইউনিভার্সাল সল্ট আয়োডাইজেশন’। বর্তমানে ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িতেই এই আয়োডিন সমৃদ্ধ নুন খাওয়া হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।