দু’লক্ষ টাকা ব্যয় করে গোটা শরীর স্ক্যান করালেন কিম কার্ডাশিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।
পছন্দের তারকাদের রোজনামচা দেখে উদ্বুদ্ধ হন অনুরাগীরা। তাঁদের জীবনে নিত্য নতুন কী ঘটছে, সে দিকে নজর থাকে সাধারণ মানুষের। তারকাদের সমাজমাধ্যমের পাতাও ভরে থাকে বিভিন্ন ছবি, ভিডিয়োতে। তাঁরা কোনও বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করলে সে সব কথাও নিজেদের সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন তাঁরা। সম্প্রতি নিজের শরীরে ‘প্রিন্যুভো’ এমআরআই স্ক্যান করিয়েছেন আমেরিকার মডেল-অভিনেত্রী কিম কার্ডাশিয়ান। এই পরীক্ষাটি করাতে খরচ পড়েছে ২৫০০ ডলারেরও বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য দু’লক্ষ টাকারও বেশি। বিশেষ এই স্ক্যানটি কিমের বহু বন্ধুর প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তাই কিম তাঁর অনুরাগীদের এবং সাধারণ মানুষকে সময় থাকতে ‘জীবনদায়ী’ এই স্ক্যানটি করানোর পরমর্শও দিয়েছেন।
অভিনেত্রী কিম তাঁর সকল অনুরাগীকে প্রিন্যুভো ফুল বডি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কেন?
২০১৮ সালে ব্যবসায়ী অ্যান্ড্রু লেসি এবং পদার্থবিদ, রেডিয়োলজিস্ট রাজপাল আটারিওয়ালা এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন। তাঁদের দাবি, ক্যানসার-সহ আরও ৫০০ ধরনের রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে এই স্ক্যান। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই বড় ভূমিকা পালন করে ‘আর্লি ডিটেকশন’। অর্থাৎ সঠিক সময়ে, নির্ভুল ভাবে তা নির্ণয় করা। সময় থাকতে রোগ ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। ফলে রোগ সারা শরীরে থাবা বসানোর আগেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। কিন্তু শরীরে যদি রোগের কোনও লক্ষণ না থাকে, সে ক্ষেত্রে অকারণ একাধিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা এড়িয়েই চলেন সাধারণ মানুষ। যে কারণে বেশির ভাগ মারণরোগ ধরা পড়ে একেবারে শেষ মুহর্তে। তবে প্রিন্যুভোর এই ফুল বডি স্ক্যানের প্রতিষ্ঠাতারা জানাচ্ছেন, শরীরের কোথাও কোনও রোগ বাসা বেঁধে আছে কি না, তা নির্ধারণ করার জন্যেই বিশেষ এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে।
মা ক্রিস জেনরের ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কিম তাঁর মাকেও উপহার দিয়েছেন এই স্ক্যান। বহু মূল্যের এই স্ক্যানটি করানোর পর চিকিৎসকেরা তাঁকে একেবারে সুস্থ বলেই আশ্বস্ত করেছেন।