হু-এর তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ‘ডিজ়িজ় এক্স’-এরও। ছবি: সংগৃহীত।
আবার একটি অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের। যে কোনও সময় এসে পড়তে পারে এই অতিমারি। এবং এটির আকার কোনও অংশে কোভিডের চেয়ে কম তো হবেই না, বরং বেশিও হতে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর বিজ্ঞানীরা। আগামী দিনে কোন কোন রোগ অতিমারির কারণ হতে পারে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে হু। এর মধ্যে রয়েছে ইবোলা, জ়িকা, সারসের মতো রোগের নাম, যেগুলির সঙ্গে আমরা কমবেশি এখন পরিচিত। তবে হু-এর তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ‘ডিজ়িজ় এক্স’-এরও। কী এই রোগ?
করোনাভাইরাস আসার আগে এই ভাইরাস সম্পর্কে কোনও তথ্যই ছিল না বিজ্ঞানীদের কাছে। তাই করোনার অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে অনেকখানি সময় লেগেছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানে। ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, এমন অজানা রোগকেই বিজ্ঞানীরা ‘ডিজ়িজ় এক্স’-এর আখ্যা দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রোগের প্রকৃতিও জুনোটিক হবে। অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর দেহে এর অস্তিত্ব প্রথম টের পাওয়া যাবে এবং তা ছড়িয়ে পড়বে মানুষের শরীরে।
হু-র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্লু-প্রিন্টে ৯ রকম সংক্রামক রোগের তালিকা আছে। ছবি: সংগৃহীত।
হু-র ব্লুপ্রিন্টে ৯ রকম সংক্রামক রোগের কথা লেখা আছে, ডিজ়িজ়-এক্স কি ১০ নম্বর?
২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ৯ রকম ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে এই ডিজ়িজ় এক্সের কথা উল্লেখ করেছিল। হু-র চিহ্নিত করা সংক্রামক রোগের তালিকায় বিশেষ ভাবে ডিজিজ-এক্সের কথা বলা হয়েছিল। হু বলছিল, পশুদের থেকে যে সব ভাইরাসনিত রোগের সংক্রমণ হয়েছে, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেবিস, ব্রুসেলোসিস, লাইম ডিজ়িজ় ইত্যাদি, ডিজিজ-এক্সও তেমনই হতে পারে।
২০১৮ সাল থেকে এখনও অবধি হু-র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্লু-প্রিন্টে ৯ রকম সংক্রামক রোগের তালিকা আছে। তাতে রয়েছে কোভিড-১৯, কঙ্গো হেমোরজিক ফিভার, ইবোলা ভাইরাস, মারবার্গ ভাইরাস, লাসা জ্বর, মিডল-ইস্ট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোম তথা মার্স, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোম তথা সার্স, নিপা ও হেনিপাভাইরাল ডিজ়িজ়, রিফ্ট ভ্যালি ডিজ়িজ়, জিকা ভাইরাস। এই ভাইরাসজনিত রোগগুলির সঙ্গে ডিজ়িজ় এক্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।