ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ডায়াবিটিসের লেখচিত্রটি বেশ উচ্চগামী। অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, মানসিক চাপের কারণে অল্প বয়সেই অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবিটিসে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেই সূত্র ধরে শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো অন্যান্য সমস্যা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রায় খানিক পরিবর্তন আনলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তার জন্য প্রতি দিন করতে হবে শরীরচর্চা। ডায়াবিটিস থেকে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতে হবে শরীরচর্চায়।
শরীরচর্চার আগে পেশির স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে অনেকেই একটা কলা খান। কলা শরীরে শক্তি জোগায়। শরীরচর্চা অনুশীলনের আগে একটা কলা খাওয়া প্রয়োজন। তবে ডায়াবিটিক রোগীদের ক্ষেত্রে কলা এড়িয়ে চলাই ভাল। কলাতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফ্রুক্টোজ। যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ডায়াবিটিস আক্রান্তদের পক্ষে যা ক্ষতিকর হতে পারে।
তরমুজে চিনির পরিমাণ কম, তাই ডায়াবিটিক রোগীরা অনায়াসে খেতে পারেন এই ফলটি। ছবি: সংগৃহীত
পুষ্টিবিদরা বলছেন, যাঁরা ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন শরীরচর্চা করার প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে খেতে পারেন তরমুজ। ঘাম ঝরাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। যা শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে। মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ তরমুজ পেশির ব্যথা, পেশির টান কমাতে সাহায্য করে। তরমুজে চিনির পরিমাণ কম, তাই ডায়াবিটিক রোগীরা অনায়াসে খেতে পারেন এই ফলটি।