বুকজ্বালার নেপথ্যে অন্য কারণও আছে। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে লুচি-তরকারি খেয়েছেন। দুপুরে কষা মাংস দিয়ে জমিয়ে ভূরিভোজ। আবার সন্ধে হতে না হতেই মুড়ি-চপ। কিছু ক্ষণ পর বুক জ্বালা, চোঁয়া ঢেকুর উঠলে, গলা জ্বালা করলে, তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী। এই সমস্যার অন্যতম নেপথ্য কারণ হল খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে না চলা। কিন্তু সেটাই একমাত্র নয়। দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাসেও কিন্তু তেড়েফুঁড়ে উঠতে পারে অম্বল।
১) সব খেয়েও সুস্থ থাকা যায়, যদি পরিমাণ মতো খান। একসঙ্গে বেশি খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তাতে হজমের গোলমাল হয়। আবার পেটও ঠিক মতো ভরে না। তার চেয়ে অল্প অল্প খাবার সারা দিন ধরে খান। উপকার পাবেন।
২) ধূমপানের সঙ্গে যে অম্বলের সম্পর্ক রয়েছে, তা অনেকেই জানেন না। অতিরিক্ত ধূমপান করলে এক ধরনের অ্যাসিড উৎপন্ন হয় পেটে। যা গ্যাস-অম্বলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩) খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়ার অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। খাওয়ার পর কিছু ক্ষণ পায়চারি করা জরুরি। না হলে খাবার সহজে হজম হয় না। হজম না হওয়া কারণেই অম্বল, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
৪) ঘুমোতে যাওয়ার আগেই খাবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন নৈশভোজ আর ঘুমের মধ্যে অন্তত ঘণ্টা দেড়েকের ফারাক রাখার। তা হলে দেখবেন, খাবারও ঠিক মতো হজম হচ্ছে। আবার গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে না।