দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব কিন্তু নানা শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রস্রাবের নিজস্ব ঝাঁঝালো একটি গন্ধ রয়েছে। সেটি আসলে অ্যামোনিয়া থেকে উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই গন্ধেরও একটি মাত্রা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সেই মাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। প্রস্রাবের গন্ধ অসহনীয় হয়ে উঠলে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব কিন্তু নানা শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়ার নেপথ্যে কোন কারণগুলি রয়েছে?
ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ
যোনি-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রাকৃতিক ভাবে ইস্ট থাকে। কিন্তু এর পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এটি শরীরে, বিশেষত যৌনাঙ্গে নানা প্রকার জটিলতা সৃষ্টি করে। দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের অন্যতম কারণ হল মূত্রনালি এবং যোনিপথ সংলগ্ন অঞ্চলে ইস্ট সংক্রমণ।
ডায়াবিটিস
গন্ধযুক্ত প্রস্রাব ডায়াবিটিসের লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবিটিস রোগীরা বাকিদের মতো চিনি হজম করতে সক্ষম হন না। সে কারণে তাঁদের প্রস্রাবে অন্য এক ধরনের গন্ধ বার হয়। কেবল প্রস্রাবের গন্ধই নয়, বার বার মূত্রত্যাগের প্রবণতাও ডায়াবিটিসের লক্ষণ।
প্রস্রাবের গন্ধ অসহনীয় হয়ে উঠলে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
যৌন রোগ
শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগ প্রস্রাব এবং মূত্রাশয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কখনও কখনও এই সংক্রমণগুলি মূত্রনালিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যার ফলে প্রস্রাবের গন্ধ অসহনীয় হয়ে ওঠে। তবে কেবল যৌন রোগ নয়, যৌনাঙ্গে সামান্য জ্বালাও দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের কারণ হতে পারে।
মূত্রনালির সংক্রমণ
ইউটিআই বা মূত্রনালির সংক্রমণ সাধারণত নানা ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার কারণে ঘটে। দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব এই ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতির একটি প্রত্যক্ষ লক্ষণ।
জলের অভাব
প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়ার আরও একটি কারণ হল জল কম খাওয়া। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হয়। কাজেই শরীরে যখন জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত হয় এবং না অন্য বর্জ্য পদার্থগুলির মাত্রাও বেড়ে যায়, তখনই প্রস্রাব থেকে খারাপ গন্ধ বেরোয়।