ছবি : সংগৃহীত।
ওজন কমাচ্ছেন? না কি মেদ ঝরাচ্ছেন? ভাবছেন, এ আবার কী প্রশ্ন! মেদ ঝরলে তবেই না ওজন কমবে। কথাটা ঠিক, আবার পুরোপুরি ঠিক নয়ও। মেদ ঝরলে ওজন কমতে পারে। কিন্তু, ওজন কমা মানেই কি মেদ ঝরেছে? এ বার একটু ধন্দ লাগছে তো! স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, ফিটনেসের লক্ষ্যস্থির করার আগে দু’টি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য জানাটা জরুরি।
ওজন কমানো বনাম মেদ ঝরানো
দেহের সম্পূর্ণ ওজন কমানো অর্থাৎ হাড়-পেশির ঘনত্ব, শরীরে জলের পরিমাণ এবং মেদ কমানো। সাধারণত ফিট হওয়ার জন্য অধিকাংশই ওজন কমানোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। কিন্তু যেটা অনেকেই জানেন না, তা হল, ওজন কমালেই সুস্থ শরীর পাওয়া যায় না। বরং তাতে অনেক সময় মেদ ঝরার বদলে আমাদের পেশির ঘনত্ব কমে, কমে শরীরে জলের পরিমাণ। যা স্বাস্থ্যকর না-ও হতে পারে।
অন্য দিকে, মেদ ঝরানোর অর্থ হল শরীরে থাকা বাড়তি মেদকে বাতিল করা। তাতে পেশির ঘনত্ব কমবে না। এতে ওজন না কমুক, মেদ ঝরে শরীরকে অনেক ঝরঝরে দেখায়। স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সুস্থ এবং ফিট থাকার জন্য ওজন কমানোর থেকে সব সময়েই মেদ ঝরানোয় বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
কেন মেদ ঝরানোতেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
‘ক্র্যাশ ডায়েট’ করে ওজন কমাতে গেলে অনেক সময় শরীর পেশিতন্তু ভেঙে শক্তি সঞ্চয় করে। পেশিতন্তু ভাঙা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। পেশিক্ষয় হলে শরীরের সঞ্চালন ক্ষমতা কমে। শরীর দুর্বল হয়। অন্য দিকে, বাড়তি মেদ ঝরালে তা পেশি সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্টের রোগ, মধুমেহ, পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। তবে পেশি এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রেখে মেদ ঝরানো সহজ নয়। ওজন দ্রুত কমানো গেলেও মেদ ঝরানোর জন্য জরুরি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাপন প্রণালী— সবই বদলাতে হয়। তবেই মিলবে সুস্বাস্থ্য এবং ফিট শরীর। অবশ্য সবুরে যে মেওয়া ফলে, তা তো প্রমাণিত সত্য।