মানসিক উদ্বেগ থেকেও হতে পারে বুকে ব্যথা। ছবি-প্রতীকী
গত দু’বছরের তুলনায় করোনার বাড়বাড়ন্ত কিছুটা কম। তবে স্থিতিশীল নয়। এ রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একেবারে কম নয়। একে বর্ষাকাল, তার উপর রয়েছে করোনা কাঁটা। সব মিলিয়ে সুরক্ষিত থাকা জরুরি। জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথার মতো কিছু শারীরিক সমস্যা বর্ষাকালেও দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, অনেকেই মরসুমি সংক্রমণ ভেবে করোনার লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে একে অপরের থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জনে।
সর্দি-কাশির মতো সাধারণ কিছু লক্ষণ ছাড়াও, কোভিডের ক্ষেত্রে বুকেব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। গবেষণা জানাচ্ছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১.৭৭ শতাংশের বুকে ব্যথার সমস্যা দেখা দিয়েছে। করোনার রিপোর্ট পজিটিভ। কিন্তু অন্য কোনও লক্ষণ নেই। শুধু বুকে ব্যথা।
খুব কম ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে যে, করোনার একমাত্র উপসর্গ বুকে ব্যথা। ছবি-প্রতীকী
এমন উদাহরণও কম নেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হয়তো অন্য কোনও কারণে বুকে ব্যথা করছে, কিন্তু করোনা হতে পারে ধরে নিয়ে অনেকেই পরীক্ষা করাতে চলে আসছেন। করোনা ছাড়াও, মানসিক উদ্বেগ থেকেও হতে পারে বুকে ব্যথা। লক্ষণ দেখে চিনতে হবে সঠিক কারণ।
কাজের চাপ, প্রত্যাশা অনুযায়ী সব ইচ্ছাপূরণ না হওয়া, এ রকম আরও বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ হতে পারে। তার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে। হৃদ্স্পন্দন দ্রুত চলে। বুকের পেশিতে চাপ অনুভব হয়। কোভিডচলাকলীন বেকারত্ব, অসুস্থতার মতো বেশ কয়েকটি কারণে অনেকেই মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন। মানসিক চাপে আছেন এমন মানুষের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। ফলে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হলেও, সব ক্ষেত্রে বুকে ব্যথার কারণ করোনা ভাইরাস।
মানসিক চাপ না কি করোনা? কোন কারণে বুকে ব্যথা করছে? বুঝবেন কী করে?
১) মানসিক উদ্বেগ থেকে বুকে ব্যথা হলে তা ৫-১০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না। কিন্তু বুকে ব্যথার কারণ যদি করোনা হয়, তা হলে দু’-এক দিন তা থাকে।
২) খুব কম ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে যে, করোনার এক মাত্র উপসর্গ বুকে ব্যথা। ফলে বুকে অস্বস্তি হলেই করোনা হয়েছে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তোলার কোনও কারণ নেই। বরং সেই সময়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে দেখা যেতে পারে। করোনা হলে বুকে ব্যথার সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ থাকবে।
৩) বুকে ব্যথার সঙ্গে হালকা জ্বর, সর্দি-কাশি থাকলে, দেরি না করে ‘আরটিপিসিআর’ করিয়ে নেওয়া জরুরি। পরীক্ষার ফল যদি পজিটিভ না আসে, তখন এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।