দিনের ঠিক কোন সময়ে শরীরচর্চা করছেন, সেটাও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। কমবেশি তা সকলেই জানেন। অনেকে তা মেনেও চলেন। শুধু ওজন বশে রাখতে নয়, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সচল রাখতে প্রতি দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা দরকার। অনেকে আবার জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে বেশি ভালবাসেন। মোট কথা, শরীরচর্চা করাটাই আসল। তাই কি? গবেষণা এবং অধিকাংশ ফিটনেস প্রশিক্ষক কিন্তু আলাদা কথা বলছেন। দিনের ঠিক কোন সময়ে শরীরচর্চা করছেন, সেটাও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার উপর নির্ভর করে ওজন কত তাড়াতাড়ি কমবে।
সকালে ঘুম থেকেই উঠে শরীরচর্চার পাট চুকিয়ে ফেলেন অনেকে। সকালের সতেজ পরিবেশে শরীরচর্চার উপকারিতাও কম নয়। সুফল মেলে দ্রুত। আবার সকালে সময় পান না বলে, অনেকেই রাতে বাড়ি ফিরে ব্যায়াম করেন। কিন্তু রাতে শরীরচর্চা করলে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। যদি খুব ভারী ব্যায়াম করেন, সে ক্ষেত্রে আরও সমস্যা হয়।
দিনের ঠিক কোন সময়ে শরীরচর্চা করলে মিলবে সুফল, তা নিয়ে একটা চর্চা চলতেই থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
দিনের ঠিক কোন সময়ে শরীরচর্চা করলে মিলবে সুফল, তা নিয়ে একটা চর্চা চলতেই থাকে। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এর একটি সমাধান পথ বার করেছে। গবেষণা বলছে, দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে সকাল কিংবা সন্ধ্যা নয়, দুপুরে শরীরচর্চা করতে হবে।
‘অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য টাইমিং অফ ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি’-র করা একটি গবেষণা ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। আমেরিকার প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা অংশ নিয়েছিলেন এই গবেষণা। গবেষণা চলাকালীন প্রায় ১০০০ জন মারা গিয়েছিলেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। এবং ১৮০০ জন ক্যানসারে। সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশেই দিনের মধ্যভাগে সবচেয়ে বেশি শারীরিক ভাবে সক্রিয় ছিলেন। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকার অর্থ জিম করা নয়। জোরে জোরে হাঁটা কিংবা পরিশ্রমসাধ্য কোনও কাজ করাটাও শরীরচর্চার মধ্যে পড়ে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, দুপুর আর বিকেলের সন্ধিক্ষণে শরীরচর্চা করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কমে। তবে ঠিক কী কারণে দুপুরকেই শরীরচর্চার আদর্শ সময় হিসাবে বেছে নিচ্ছেন গবেষকরা, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনেননি।