ছবি- সংগৃহীত
দেহের ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে কম-বেশি সকলেরই মাথাব্যথা রয়েছে। শুধু স্থূলতা নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো একাধিক সমস্যা। যার সূত্রপাত শরীরের বাড়তে থাকা এই ওজন থেকেই। ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে অবশ্য জীবনযাত্রার মানও অনেকটা দায়ী।
নিয়মিত শরীরচর্চা না করা, ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের উপর নির্ভর করাকেই অনেকে তুরুপের তাস মনে করেন। আবার অনেকেই ইন্টারনেট খুঁজে নিজের পছন্দ মতো খাবারের তালিকা তৈরি করে নেন। কেউ শুধু প্রোটিন নির্ভর খাবার খান, কেউ খাবারের তালিকা থেকে কার্ব একেবারেই বাদ দিয়ে দেন, আবার কেউ সারা দিন ধরে শুধু মাত্র এক রকম ফল খেয়েই রোগা হওয়ার মন্ত্র আপন করে নেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, বিভিন্ন ফলের মধ্যে থেকে ওজন কমানোর জন্য সেরা হাতিয়ার হল আনারস। অনেক পুষ্টিবিদের মতে, ওজন কমাতে রোজ যদি অন্তত পক্ষে দু’টি করেও আনারস খাওয়া যায়, তা হলে পাঁচ দিনের মধ্যেই ওজন ঝরতে পারে প্রায় পাঁচ কেজি। কিন্তু ওজন ঝরানোর এই ফিকির কি আদৌ সকলের জন্য সমান ভাবে কার্যকর?
সম্প্রতি এক পুষ্টিবিদ তাঁর সমাজমাধ্যমে আনারসের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তুলে ধরেছেন এই ডায়েটের কিছু খারাপ দিকের কথা। এই ধরনের ‘মোনো ডায়েট’-এর ক্ষেত্রে শুধু মাত্র এক ধরনের ফল খাওয়ার উপরেই জোর দেওয়া হয়। যেহেতু আনারসে শর্করার পরিমাণ বেশি, তাই সারাদিন আর কিছু না খেলেও তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে দু’দিনের বেশি এই ডায়েট করা একেবারেই অনুচিত বলে মনে করছেন তাঁরা।
কেউ যদি দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের ডায়েটের উপর নির্ভরশীল হন, সে ক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। আইবিএস বা ইরিটেবেল বাওয়েল সিনড্রোমের অস্বস্তিকর পেটের সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। আনারসের মধ্যে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায়, তা পাকস্থলীর জন্য মোটেও ভাল নয়। এ ছাড়াও আনারসে থাকা ‘ব্রোমেলাইন’ নামক উৎসেচকটি ত্বকের র্যাশ, পেটের সমস্যা, ঋতুকালীন অত্যধিক রক্তপাতের পরিমাণও বাড়িয়ে তোলে।