অতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করলেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখতে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা বলেন নিয়মিত ভিটামিন সি খেতে। বিশেষ করে এই অতিমারির আবহে আরও বেশি করে ভিটামিন সি খেতে বলা হচ্ছে। এই ভিটামিন শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভিটামিন সি-র জুড়ি মেলা ভার। শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি দেখা দিলে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। বেশ কিছু সব্জি ও টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। চিকিৎসকরা তাই পাতিলেবু বা আমলকির মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, কাঁচা পেঁপে, পালংশাকের মতো শাক-সব্জিতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক গড়ে ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল না। ভিটামিন সি যেমন ত্বক এবং শরীরের যত্ন নেয়। তেমনই স্বাভাবিক পরিমাণের তুলনায় অতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করলেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
হজমের সমস্যা
প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। দিনে দু’হাজার মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করলে ডায়রিয়া, বমি বা অম্বল হতে পারে।
আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন সি আয়রনের খুব ভাল শোষক। তাই বেশি ভিটামিন সি খাওয়া মানেই শরীরে আয়রন বাড়বে। এতে লিভার, হৃদ্যন্ত্র, থাইরয়েড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আয়রনের অভাবে চাপ পড়ে স্নায়ুতন্ত্রেও।
পিত্তাশয়ে পাথর
ভিটামিন সি যেহেতু রক্তে দ্রবীভূত হয় না, ফলে বাড়তি ভিটামিন সি জমতে থাকে পিত্তাশয়ে। এতে পিত্তাশয় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই শরীর ভাল রাখতে ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন, তা যেন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না হয়ে যায়।