পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ওটমিল, কলা এবং গোটা গমের রুটির মতো খাবারগুলি খুবই উপযোগী। প্রতীকী ছবি।
সকালের জলখাবার হল দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। প্রথমত এটি দিনের প্রথম খাবার, তা ছাড়া সকালে ভারী নাস্তা করে নিলে সারা দিন ভরা থাকে পেট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের খাবার হজম করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই ওজন কমানো এবং শরীর সচেতনদের মধ্যে সকালেই ভারী খাবার খেয়ে নেওয়ার চল বেশ জনপ্রিয়।
সকালে যা যা খাবেন তার মধ্যে অর্ধেকটা জুড়েই থাকুক স্যালাড ও সব্জি। বাকি অর্ধেকে সমান সমান থাকুক প্রোটিন ও শর্করা। প্রতীকী ছবি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে, কম শর্করা যুক্ত প্রাতঃরাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ওটমিল, কলা এবং গোটা গমের রুটির মতো খাবারগুলি খুবই উপযোগী। কারণ এই খাবারগুলির গ্লাইসেমিক সূচক বেশ কম। যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে সেগুলি ধীর গতিতে শক্তি নির্গত করে। এই ধরনের খাবার পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কী করবেন—
১। চিনির বদলে অন্য বিকল্প ব্যবহার করুন। যেমন মধু, গুড় বা ম্যাপ্ল সিরাপ ইত্যাদি।
২। যাঁরা সকালে ভাত খান, তাঁরা সাধারণ চালের বদলে ঢেঁকি ছাটা চাল ব্যবহার করতে পারেন।
৩। বেশি করে ফল খান। সাধারণ শর্করার থেকে প্রাকৃতিক শর্করা কম ক্ষতিকর।
৪। বিভিন্ন ধরনের সব্জি রাখুন খাদ্য তালিকায়। এগুলি এক দিকে যেমন বিপাকে সহায়তা করে, তেমনই বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের জোগান বজায় রাখে।
৫। সকালে যা যা খাবেন তার মধ্যে অর্ধেকটা জুড়েই থাকুক স্যালাড ও সব্জি। বাকি অর্ধেকে সমান সমান থাকুক প্রোটিন ও শর্করা।