কোন লক্ষণ বলে দেবে শরীর পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম পাচ্ছে না।
সুস্থ থাকার জন্য প্রতি দিনের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট থাকা যেমন জরুরি, তেমনই পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেলও প্রয়োজনীয়। আর এই মিনারেলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যালশিয়াম। আমাদের হাড়, দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ক্যালশিয়াম। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। যার জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে শরীরে এই খনিজের অভাব হচ্ছে?
১) পেশিতে টান
শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলে পেশি ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি অনুভব করতে পারেন। হাঁটাহাঁটি বা নড়াচড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা ছাড়াও হাত, বাহু, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তাও অনুভব হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
২) অতিরিক্ত ক্লান্তি
ক্যালশিয়ামের অভাব হলে চরম ক্লান্তিভাব আসতে পারে। সব সময় অলসতা বোধ হতে পারে। এর প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং ব্রেইন ফগও হতে পারে যেটি মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
প্রতীকী ছবি।
৩) নখ ও ত্বকের সমস্যা
শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলে ত্বক শুষ্ক, নখ ভঙ্গুর, চুল মোটা, একজিমা, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের চুলকানি এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা হতে পারে।
৪) অস্টিওপরোসিস
আমাদের শরীরে ক্যালশিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কমে গেলে, শরীর হাড় থেকে ক্যালশিয়াম শুষে নেয়। এ কারণে হাড় ভঙ্গুর এবং আঘাত প্রবণ হয়ে ওঠে। অস্টিওপরোসিস রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
৫) দাঁতের সমস্যা
শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে তা দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। এর কারণে দাঁতের ক্ষয়, দাঁত ভঙ্গুর, মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং দাঁতের শিকড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
৬) মানসিক অবসাদ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ক্যালশিয়ামের অভাব হলে তা হতাশা-সহ মেজাজ খারাপ হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।