কী এমন থাকে সেই কালো জলে, যার জন্য সাধারণ জল খাওয়াই ছেড়েছেন তারকারা? ছবি: সংগৃহীত।
সাক্ষাৎকারের ফাঁকে হোক কিংবা জিম থেকে ফেরার পথে, বিরাট কোহলিকে প্রায়ই দেখা যায় কালো রঙের জলে চুমুক দিতে। সেই জল যে সে জিনিস নয়। রীতিমতো দামি সেই পানীয়। এক এক সংস্থার জলের দাম এক এক রকম। কোনও কোনও সংস্থার এক লিটার কালো জল কিনতে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়।
তবে এর চেয়ে কিছুটা কম দামেও আছে। মোটামুটি ভাবে অনলাইনে দেখলে এই কালো জলের দাম শুরু হয় প্রতি লিটার ১০০ টাকা থেকে। ৫০০, ৮০০, ১২০০ টাকাতেও মেলে এই জল। কিন্তু সে দামও তো সাধারণ জলের চেয়ে অনেক বেশি। কী এমন থাকে সেই জলে, যার জন্য সাধারণ জল খাওয়াই ছেড়েছেন তারকারা? আদৌ কি এই জলের কোনও স্বাস্থ্যগুণ আছে? নাকি পুরোটাই তারকাদের কায়দা?
অনেকের মতে, কালো জল বা অ্যালকালাইন ওয়াটার শরীরের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে, হৃদ্যন্ত্রও ভাল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি, স্থূলতার হাত থেকে রেহাই পেতেও নাকি এই জল বেশ উপকারী। আবার অনেকেই বলেন, কোনও আলাদা গুণই নেই কালো জলের।
সাধারণ জলের থেকে কোথায় আলাদা এই জল?
সাধারণ জলে পিএইচের মাত্রা ৬ থেকে ৭, কোনও খনিজ থাকে না। অন্য দিকে, অ্যালকালাইন ওয়াটার বা ক্ষারকীয় জলের পিএইচের মাত্রা ৮-এর উপরে থাকে। শুধু তা-ই নয়, এতে ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম বাইকার্বনেটের মতো খনিজ পদার্থও ভরপুর মাত্রায় থাকে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁদের গ্যাস, অম্বল বা হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই জল বেশ উপকারী। ছবি: শাটারস্টক।
এই জল খাওয়া কি আদৌ উপকারী?
১) গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁদের গ্যাস, অম্বল বা হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই জল বেশ উপকারী। নিয়মিত এই জল খেলে হজমশক্তি ভাল হয়, পেটেও ভাল থাকে।
২) হজম ভাল হলে বিপাকক্রিয়াও ভাল হয়। আর বিপাকক্রিয়া ভাল হলেই শরীরে ক্যালোরির খরচ বেশি হয়। তাই ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। কালো জল পরোক্ষ ভাবে ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে।
৩) বয়স ধরে রাখতে সকলেই চান। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে নিয়মিত কালো জল খাওয়া যেতে পারে। জেল্লাদার ত্বক পেতে, ব্রণর সমস্যা দূর করতেও এই জল উপকারী।
৪) শরীরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বিটিসের সমস্যা থাকলেও এই জল খেলে উপকার পেতে পারেন। নিয়মিত খেলে এই দুই রোগকে বাগে রাখা সম্ভব। এই জল খেলে শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ ভাল হয়।
৫) কালো জলের পিএইচ মাত্রা অনেক বেশি। নিয়মিত এই জল পান করলে মহিলাদের যোনিমুখে পিএইচের মাত্রা বেড়ে যায়, যা শুক্রাণুদের পক্ষে আদর্শ। তাই এই জল খেলে সন্তানধারণের ক্ষমতা বেড়ে যায়।