ছবি: সংগৃহীত
স্মৃতি ইরানির সাম্প্রতিকতম ছবি দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এক ঝকটায় অনেকটা ওজন ঝরিয়ে ফের সেই ছোট পর্দার ‘তুলসী’ হয়ে গিয়েছেন যেন! ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি দেখে মন্তব্য বাক্স ভরে গিয়েছে তাঁর ডায়েট জানতে চেয়ে। কী খেয়ে তিনি এতটা ওজন ঝরাতে পেরেছেন, তা জানার কৌতূহল হয়েছে সকলের। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু একতা কপূর আবার সেখানে মন্তব্য করেছেন, ‘ডায়েট বন্ধ করো। আমার ঈর্ষা হচ্ছে’। এ বার সেই ডায়েট জানা গেল। প্রায় ৪৫ দিন তিনি নাকি কোনও গ্লুটেনযুক্ত খাবার এবং কোনও দুগ্ধজাত খাবার রাখেননি রোজের ডায়েটে।
কী ভাবে দুগ্ধজাত খাবার এবং গ্লুটেন বাদ দিলে?
যাঁরা ওজন ঝরাতে চান, তাঁদের জন্য এই খাদ্যাভ্যাস যথেষ্ট জনপ্রিয়। এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে যে কোনও খাবার যেখানে দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারের লেশমাত্র থাকবে, তা এড়়িয়ে চলতে হবে। গ্লুটেনের ক্ষেত্রেও তাই। ময়দার যে কোনও পদ যাতে সহজেই একটি নির্দিষ্ট আকার পায়, তাতে সাহায্য করে গ্লুটেন। কিন্তু গ্লুটেনের কোনও রকম পুষ্টিগুণ নেই। বরং কারও কারও গ্লুটেন থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সাধারণত যে খাবারগুলি থেকে আমাদের শরীরে নানা রকম অ্যালার্জি হয়ে হজমশক্তি কমে যায়, সেগুলি এই খাদ্যাভ্যাসে দূর করে দেওয়া যায়। তাই হজম ভাল হয়।
ছবি: সংগৃহীত
কী ভাবে করা যায় এই ডায়েট?
কিটো ডায়েট বা অন্য যে কোনও ‘ফাস্ট ডায়েট’-এর চেয়ে এই খাদ্যাভ্যাসে একটি পার্থক্য রয়েছে। এটি মূলত জীবনযাপনে বদল আনা। সাধারণ ঘরোয়া খাবার খেতেই পারেন, শুধু যাতে দুগ্ধজাত খাবার বা গ্লুটেন থাকবে না, সেগুলি এড়িয়ে যেতে হবে। শস্য, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার বেশি রাখতে হবে রোজকার খাদ্যতালিকায়।
কী করে ওজন কমবে?
দুগ্ধজাত খাবার এবং গ্লুটেন বাদ দিলেই যে আপনার অনেকটা ওজম কমে যাবে, তা নয়। কিন্তু এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে যে কোনও মানুষের হজমশক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই শরীরের যে কোনও খাবার তাড়াতা়ড়ি হজম করে ফেলা যায়। হরমোনের ক্ষরণ সঠিক মাত্রায় হয়। তাই শরীরও অনেক বেশি ঝরঝরে হয়।