কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এরও শিকার হন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত।
নানা কারণে হৃদ্রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিচ্ছে ইদানীং। হার্টের খেয়াল রাখা কিন্তু বেশ কঠিন। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে খাওয়াদাওয়া থেকে দৈনন্দিন জীবনযাপন, সব দিকেই কড়া নজর দেওয়া জরুরি। কিন্তু নিয়ম মেনে চলা সত্ত্বেও হৃদ্যন্ত্রে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। সমীক্ষা জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর অর্ধেকের কারণ হার্ট অ্যাটাক। হৃদ্রোগের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শুধু যে বয়স্কদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে, তা কিন্তু নয়। কমবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদ্রোগে। অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই রোগ ঠেকানোর উপায় কী। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের যত্ন নেওয়া, সুষম খাবার খাওয়া এবং মানসিক চাপ কম নেওয়া— এই তিনটি নিয়ম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলির উপরেও নজর দেওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।
চিকিৎসকদের মতে, হার্ট অ্যাটাক সব সময়ে যে হঠাৎ হবে, এমনটা নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এরও শিকার হন অনেকে। এই উপসর্গগুলি অনেক ক্ষেত্রেই অন্য রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়। অনেক সময়ে এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সে ভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না রোগী। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাক।
এমন হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ কী?
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত, পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই এই ধরনের রোগের শিকার হন বেশি। এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে বুকে চাপ, ব্যথা, এগুলি মাঝেমাঝে আসে। আবার সেরেও যায়। আমরা ভেবে বসি হজমের সমস্যা। কিন্তু মাঝেমাঝে বুকে চিনচিনে ব্যথা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ। এ ছাড়াও বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক সময়ে গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি অনুভব করেন রোগী। অনেক সময়ে বুকের পেশিতেও টান পড়ে, সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়। খুব অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য শারীরিক কাজেই হাঁপাতে দেখা যায়। এমনকি, এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে এমন অবস্থায়। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এই লক্ষণগুলি জেনে রাখা দরকার। তা হলে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা শুরু করতে সুবিধা হবে।