এন্ডোমেট্রিয়োসিসের উপসর্গ কী কী ছবি: সংগৃহীত
জরায়ুতে ‘এন্ডোমেট্রিয়াম’ নামক একটি স্তর থাকে, এই এন্ডোমেট্রিয়াম স্তরের টিস্যু যদি জরায়ুর বাইরে বর্ধিত হয়, তখন তাকে বলে ‘এন্ডোমেট্রিয়োসিস’। ডিম্বাশয়, পেটের ভিতরের আবরণী বা পেরিটোনিয়াম, বিভিন্ন লিগামেন্ট, অন্ত্র, সেপটাম, ‘স্কার টিস্যু’ বা কাটা সেলাইয়ের উপর জমতে পারে এই ট্যিসু। এন্ডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যা থাকলে ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত ও তীব্র ব্যথা হতে পারে। দেখে দিন কোন কোন সমস্যা দেখে চেনা যাবে এন্ডোমেট্রিয়োসিস?
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। ঋতুস্রাবের সময় তীব্র ব্যথা: ঋতুস্রাবে অনেকেই ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু এন্ডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যা থাকলে এই ব্যথা বহু গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ঋতুস্রাব শুরু ও শেষের আগে ও পরে বেশ কিছু দিন পর্যন্ত এই ব্যথা থাকে। ব্যথা হয় তলপেট ও কোমরেও।
২। যৌন মিলনে সমস্যা: এন্ডোমেট্রিয়োসিসের ফলে যৌন মিলনের সময়ে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা যৌন মিলনের পরেও বেশ কিছু দিন থাকে।
৩। মল, মূত্র ত্যাগে সমস্যা: মল ত্যাগ করার সময়ে ও প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হয় তলপেটে। সাধারণত ঋতুস্রাব চলার সময় এই সমস্যাগুলি আরও বেড়ে যায়।
৪। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ: এন্ডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যা থাকলে ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত দেখা যেতে পারে। পাশাপাশি দুটি ঋতুস্রাবের নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ‘ইন্টারমেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং’ দেখা যেতে পারে।
৫। বন্ধ্যত্ব: সব সময় না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এন্ডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যা থাকলে রোগীর সন্তানধারণে সমস্যা তৈরি হয়।
৬। অন্যান্য সমস্যা: এন্ডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যা থাকলে অনেক সময় ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাঘোরার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে, এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে।