শরীর সুস্থ রাখতে লবঙ্গের ভূমিকা অনবদ্য। ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ঢুকেছেন। মাথা মুছে সুস্থ হয়ে বসতে না-বসতেই শুরু হয়ে গেল গলা খুসখুস। আপনার কাশির শব্দ শুনেই মা হাজির হলেন লবঙ্গ হাতে। মায়ের দেওয়া লবঙ্গ মুখে দিতেই উধাও খুসখুসে কাশি। সর্দি-কাশির মতো এমন অনেক সমস্যা নিমেষে সারিয়ে দিতে পারে লবঙ্গ। শুধু কি শরীরের যত্ন, রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি করে এই উপকরণ। রান্নার মশলা হিসাবে এর ব্যবহার বেশি। তবে গবেষণা বলছে, শরীর সুস্থ রাখতেও লবঙ্গের ভূমিকা অনবদ্য।
লবঙ্গ কী ভাবে নেয় শরীরের যত্ন?
১) লবঙ্গের একটি প্রধান উপাদান নাইজেরিসিন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এই উপাদানটির জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানটির জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির কার্যক্ষমতা বাড়ানোর মতো উপকার হয়। ডায়াবিটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ একটি অন্যতম অস্ত্র হতে পারে।
২) সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথায় লবঙ্গ-তেল মালিশের উপকারিতা অনেকেই জানেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্য দাঁতের ব্যথায় এটি খুব উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ ভেজানো জলে কুলকুচি করলে মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
৩) বিভিন্ন কারণে পাকস্থলীর আলসারের সমস্যা বাড়ে। গবেষণা বলছে, লবঙ্গ পাকস্থলিতে মিউকাস উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে।
সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথায় লবঙ্গ-তেল মালিশের উপকারিতা অনেকেই জানেন। ছবি: সংগৃহীত
তবে লবঙ্গের অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনতে পারে সমস্যাও। সেগুলি কী কী?
১) অনেকে অকারণে মুখে লবঙ্গ রাখতে পছন্দ করেন। মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।
২) যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবন হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।
৩) লবঙ্গ থেকে কিন্তু হতে পারে অ্যালার্জিও। তাই লবঙ্গ খেয়ে দেখুন কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। র্যাশ বা চুলকানি কিছু দেখা দিলে লবঙ্গ খাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন।