অ্যালো ভেরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছবি: সংগৃহীত
অ্যালো ভেরার হরেক গুণ। কিন্তু অ্যালো ভেরার অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনতে পারে একাধিক সমস্যাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালো ভেরায় ‘অ্যালোইন’ নামক এক প্রকার উপাদান থাকে। খাদ্যের মাধ্যমে এই উপাদানটি গ্রহণ করার সর্বোচ্চ মাত্রা দশ পিপিএম। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বাহ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ৫০ পিপিএম। এই পরিমাণের বেশি অ্যালো ভেরা গ্রহণ করলে দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা।
অ্যালো ভেরা ছবি: সংগৃহীত
কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১। রক্তে শর্করার মাত্রা
অ্যালো ভেরার রস নিয়মত পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক। কারণ অ্যালো ভেরার রস আকস্মিক ভাবে রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষত, ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ঘোরতর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
২। জলশূন্যতা
পরিমিত পরিমাণ অ্যালো ভেরা ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে সহায়তা করে, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালো ভেরা বিগড়ে দিতে পারে দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য। এমনকি, তৈরি করতে পারে জলশূন্যতাও। অতিরিক্ত অ্যালো ভেরার রস বদলে দিতে পারে মূত্রের রং।
৩। ডায়েরিয়া
অ্যালো ভেরা মল নরম রাখতে বেশ কার্যকর। তাই অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে অ্যালো ভেরার রস পান করেন। কিন্তু অতিরিক্ত অ্যালো ভেরার রস খেলে আবার হতে পারে ডায়েরিয়া। এমনকি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমও তৈরি হতে পারে।
৪। আকস্মিক ক্লান্তি
অতিরিক্ত অ্যালো ভেরায় দেহে পটাশিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে হঠাৎ মাথা যন্ত্রণার সমস্যা তৈরি হতে পারে। পটাশিয়ামের মাত্রায় গোলমাল হলে অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন, পেশীর অস্বাভাবিক শিথিলতা ও আকস্মিক ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।