—প্রতীকী ছবি।
শীতকালে তো বটেই, অন্য সময়েও রাতে মোজা পরে ঘুমোনোর অভ্যাস আছে অনেকের। মোজায় পা না গলালে রাতে ঘুমই আসতে চায় না। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। একই মোজা প্রতি দিন পরে ঘুমোনোর অভ্যাসে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া। সেখান থেকেই জন্ম নেয় মারাত্মক কিছু শারীরিক সমস্যা।
‘ম্যাট্রেস নেক্সট ডে’-র করা একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ রাতে মোজা পরে ঘুমোন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সারা বছর মোজা পরে ঘুমোতে যান। প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সকলেই প্রতি দিন মোজা কাচেন কি না। অধিকাংশের উত্তর ছিল না। সপ্তাহে এক দিন মোজা কাচেন। গবেষণা জানাচ্ছে, মোজা পরে ঘুমোলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অপরিষ্কার, নোংরা মোজা নানা রোগবালাই ডেকে আনে। নোংরা মোজা পরেই দীর্ঘ ক্ষণ শরীরের সংস্পর্শে থাকে। ফলে ব্যাক্টেরিয়া সহজেই শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে। এর ফলে মূত্রনালির সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যার ঝুঁকি থাকে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, অপরিষ্কার মোজা শৌচালয়ের চেয়েও বেশি অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা।
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’ জানাচ্ছে নোংরা মোজায় রয়েছে ‘সিউডোমোনাস অ্যারুগেনেসা’ নামক ব্যাক্টেরিয়া। সাধারণত এই ব্যাক্টেরিয়ার আরশোলার শরীরে এবং তাদের মলে পাওয়া যায়। এই ব্যাক্টেরিয়া হানায় ‘অ্যাথলিটস ফুট’ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই রোগে পায়ের আকার বদলে যায়, নখে উপড়ে আসে, অনেক সময়ে পা ফেটে মাংস পচেও যায়। পরিস্থিতি এতটা মারাত্মক হোক তা না চাইলে নোংরা মোজা পরে না ঘুমোনোই ভাল।
গবেষকদের মতে, মোজা পরে ঘুমোনো অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেলে, তা না ছাড়াই ভাল। তবে পরিষ্কার মোজা পরে তবেই ঘুমোতে যান। প্রতি দিন মোজা কেচে দিন। দরকার হলে ঘুমের জন্য আলাদা মোজা রাখুন। কিন্তু একই মোজা প্রতি দিন পরে ঘুমোতে না যাওয়াই শ্রেয়।