কোন সব্জিগুলি রান্না করে খাওয়াই শ্রেয়? ছবি: সংগৃহীত।
মরসুম যাই হোক, সুস্থ থাকতে শাকসব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। রোজের পাতে সব্জির পদ থাকে অনেকেরই। সব সময় রান্না করার সুযোগ না থাকলে, কাঁচাও খান অনেকে।
সব্জি কাঁচা খাওয়া অনেকেই স্বাস্থ্যকর বলে মনে হয়। সব্জি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তা একেবারেই নয়, কিন্তু কিছু সব্জি কাঁচা না খাওয়াই ভাল। উদাহরণ হিসাবে টম্যাটোর কথা বলা যেতে পারে। টম্যাটোতে আছে গ্লিকোলক্যালিওডস। টম্যাটো কাঁচা অবস্থায় খেলে গ্যাসের সমস্যার ঝুঁকি থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন অনেক শাকসব্জি আছে, যেগুলি রান্না করা হলে তার পুষ্টিগুণ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কোন সব্জিগুলি কাঁচা খাবেন না?
পালংশাক
শরীরের পক্ষে এই শাক দারুণ উপকারী। এতে ভরপুর মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও জিঙ্ক থাকে। অনেক সময়ে আমরা স্যালাডে বা রকমারি রান্নায় হালকা সেদ্ধ করা পালংশাক ব্যবহার করি। পুষ্টিবিদদের মতে, এই শাক বেশি ক্ষণ ধরে রান্না করলে, পুষ্টিগুণ বাড়ে। এই শাকে অক্সালিক অ্যাসিড থাকে, তা শরীরে আয়রন ও ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। বেশি ক্ষণ ধরে রান্না করলে এই যৌগ ভেঙ্গে যায়, ফলে শরীর পুষ্টিগুণগুলি বেশি মাত্রায় শোষণ করতে পারে।
গাজর
অনেকেই কাঁচা গাজর খেতে পছন্দ করেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা গাজরের তুলনায় রান্না করা গাজরে বিটা ক্যারোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। এই যৌগ শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি করে। ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, চোখ ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে উপকারী। রান্না করা গাজরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মান দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, সেদ্ধ করা গাজরের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি।
ক্যাপসিকাম। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যাপসিকাম
চাইনিজ খাবার হোক কিংবা টুকিটাকি স্ন্যাকস, রান্নায় ক্যাপসিকাম পড়লে খুব বেশি রান্না করা হয় না! ক্যাপসিকাম হালকা কাঁচা খেতেই পছন্দ করেন অনেকে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ক্যাপসিকামে থাকা ক্যারোটিনয়েডের কারণে তার পুষ্টিগুণগুলি শরীরে পৌঁছয় না। বাধা পায়। তাপ পেলে ক্যারোটিনয়েড ভেঙে যায়। তখন শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় পুষ্টি পৌঁছায়।