সহজ, চেনা কিছু শারীরিক কসরতে, প্রায় খেলাচ্ছলেই দেহ আবার ফিরে পাবে আগের মতো যথাযথ আকার।
এই বছরটাও দেখতে দেখতে কেটে যাচ্ছে। তবে বিগত ১২ মাসের লাভ ক্ষতির অঙ্ক করতে বসে যদি দেখেন বেশ কিছুটা মেদ শরীরে জমেছে, তবে মোটেই মেজাজ শরিফ থাকবে না আর। তা ছাড়া অতিমারির জন্য অনেকটা সময় বাড়িতে থেকে কাজ করতে হয়েছে। বাইরে নিয়মিত গেলে যে শারীরিক পরিশ্রমটা হয় সেটাও হয়নি। খাবারেও হয়েছে বড়সড় অনিয়ম। ফলে ছিপছিপে শরীরে ক্যালোরি বেড়ে যদি নিজেকে বেঢপ মনে করেন, তবে হাতের কাছেই আছে সমস্যার সমাধানও। সহজ, চেনা কিছু শারীরিক কসরতে, প্রায় খেলাচ্ছলেই দেহ আবার ফিরে পাবে আগের মতো যথাযথ আকার, কমবে ক্যালোরি, উপরন্তু বাড়বে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
জগিং
রোজ নিয়ম করে কিছু ক্ষণ জগিং করলে শরীরে মেদ জমার সুযোগই পাবে না। এতে খুব দ্রুত সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন হয় আর ক্যালোরিও ঝরে যায়। প্রত্যেক দিন সময় না পেলে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন নিয়ম করে খানিক ক্ষণ জগিং করুন। সঙ্গে অবশ্য ভাজাভুজি বাদ রেখে সুষম খাদ্য খাওয়াও জরুরি।
সাইক্লিং
সাইকেল চালানো আপনার হাঁটুকে শক্তিশালী করার জন্য দুর্দান্ত একটি ব্যায়াম। বিশেষ করে আপনার যদি দৌড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটুতে ব্যথা হয় বা অতিরিক্ত মেদের ফলে হাঁটুতে চাপ পড়ে তবে সাইকেল চালালে পেতে পারেন প্রভূত উপকার। বহু জিমেও তাই এই ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে শরীরচর্চা করানো হয় এখন।
ক্যালোরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের অনেকটা সাহায্য করতে পারে।
লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি
সবচেয়ে সহজ যে উপায়ে ওজন কমতে পারে তা হল সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা। অনেকে একে শরীরচর্চার অঙ্গ হিসেবে ধরতে চান না। কিন্তু যাঁরা কোনও না কোনও বহুতলে থাকেন কিংবা চাকরিসূত্রে যাতায়াত করেন, তাঁরা খুব ভাল জানেন লিফ্ট না চললে সিঁড়ি ব্যবহার করার সময়ে কতখানি ধকল যায়। মেদ কমার পাশাপাশি এ ভাবে পায়ের পেশি শক্ত হয়, আঙুলের যন্ত্রণা কমে, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম হয় এবং কোমরের পেশিতে রক্তসঞ্চালন হয় যথাযথ ভাবে।
সাঁতার
আমরা একটু সচেতন হয়ে খেয়াল করলে দেখব যে যাঁরা নিয়মিত সাঁতার কাটেন তাঁদের শরীরে মেদের আধিক্য প্রায় নেই। জলে ভেসে থাকতে গেলে ওজনদার আকৃতি নিয়ে কিন্তু মুশকিলই হয়। তা ছাড়া সাঁতারের সময় শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের ব্যায়াম হয়— বিশেষজ্ঞদের মত এমনটাই। শীতকালে ঠাণ্ডার ভয়ে জলে নামতে না চাইলে এমন সুইমিং পুলের সন্ধান করতে পারেন যেখানে পুলের জল থাকে নাতিশীতোষ্ণ।
দড়ি লাফানো
দড়ি লাফানো বা আরেকটু চেনা ভাষায় বললে লাফদড়ি খেলার সঙ্গে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু অনেকেই জানি না যে ক্যালোরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের কতখানি কাজে লাগতে পারে। ঘণ্টায় ৬০০ থেকে প্রায় ৯০০ ক্যালোরি শরীর থেকে বাদ দিয়ে দিতে সক্ষম এই কসরতটি। তা ছাড়াও এটি হাড়ের ঘনত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে, যা হাড়ের ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসের মত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।