শরীর গরম করবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
সোয়েটার, হনুমান টুপি, জ্যাকেট, উলের মোজা— ঠান্ডা কাটাতে একে একে সব শীতপোশাকই গায়ে চাপিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু হাড়ের কাঁপন কিছুতেই বশে রাখা যাচ্ছে না। গা গরম রাখতে অনেকেই নানা রকম ঘরোয়া টোটকা খেয়ে থাকেন। কেউ বলেন, বিট-গাজরের রস খেলে শরীর গরম হয়। আবার কেউ বলেন, মধু খেলেও না কি গা গরম থাকে। আবার ঈষদুষ্ণ জলে রাম খাওয়ার নিদানও দেন অনেকে। ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই দেখা যায় নিত্য দিন নানা রকম টোটকা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন নেটপ্রভাবীরা। তবে সে সব টোটকায় যদি কাজ না-ও হয়, বিশেষ একটি প্রাণায়ামে কিন্তু শরীর গরম হয়ে উঠতে পারে। তেমনটাই বলছেন তারকা যোগ প্রশিক্ষক অনুষ্কা পরওয়ানি। নিয়মিত ‘সূর্য ভেদন প্রাণায়াম’ অভ্যাস করলে কনকনে ঠান্ডাতেও শরীরে পাবেন উষ্ণতার ছোঁয়া।
‘সূর্য ভেদন প্রাণায়াম’ কী ভাবে শরীরকে উষ্ণ করে তোলে?
ডান নাসারন্ধ্র দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার পদ্ধতিতে শরীরে তাপ সঞ্চারিত করতে পারে। তা ছাড়া, ঠান্ডার সময়ে শরীরের বিভিন্ন পেশির নমনীয়তা কমে যায়। সেই সমস্যাও দূর করতে পারে এই প্রাণায়াম। নিয়মিত এই প্রাণায়াম অভ্যাস করলে শরীরে যে তাপ উৎপন্ন হয়, তা সাইনাস এবং বুকের জমা কফের সমস্যা নিরাময় করতে পারে। অনুষ্কা পরওয়ানির মতে, “এই জাদুকরী প্রাণায়াম শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যাঁদের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই প্রাণায়াম বিশেষ ভাবে উপকারী।” তবে এই প্রাণায়াম করা কিছু নিয়ম আছে। যখন তখন এই প্রাণায়ম অভ্যাস করা যায় না। সাধারণত সকালের দিকেই ‘সূর্য ভেদন প্রাণায়াম’ করতে বলা হয়।
কী ভাবে অভ্যাস করবেন এই প্রাণায়াম?
১) প্রথমে সুখাসনে বসুন। পিঠ, কোমর একেবারে টান টান করে রাখুন। ঘাড়, কাঁধ যেন শক্ত না হয়।
২) এ বার ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে বাঁ নাসারন্ধ্র চেপে রাখুন।
৩) এ বার ডান নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিয়ে, বাঁ দিক দিয়ে নিশ্বাস ছাড়ুন।
৪) আবার বাম নাসারন্ধ্র চেপে ধরুন।
৫) ডান দিক দিয়ে শ্বাস নিন। আবার বাম দিক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
৬) পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত অভ্যাস করতে পারলেই শরীর ধীরে ধীরে গরম হয়ে উঠবে।