শরীরচর্চা আর খাদ্যাভাসে বদল আনতে না পারলে এই দুই শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবেটিক রোগী এখন ঘরে ঘরে। কর্মব্যস্ত জীবন, অত্যধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ডায়াবিটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও দিন দিন বে়ড়ে চলেছে। ৩০ পেরোলেই রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। নিয়মিত শরীরচর্চা আর খাদ্যাভাসে বদল আনতে না পারলে এই দুই শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিস দুই-ই আছে এমন রোগীর সংখ্যাও কম নয়। মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, কোন খাবার খেলে এই দুই রোগই জব্দ হবে জানেন কি?
জাম
গ্রীষ্মকাল মানেই জামের মরসুম। এই ফল রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। পটাশিয়ামে ভরপুর এই ফল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। শুধু তাই নয়, জাম শরীরে ইনসুলিন হরমোনের সক্রিয়তা বাড়ায় যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিট
শুধু শীতকালেই নয়, এখন বাজারে গেলে হামেশাই পাওয়া যায় এই সব্জি। বিটের মধ্যে থাকা ফোলেট রক্তবাহিকাগুলি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। বিটে থাকা নাইট্রিক অক্সাইড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যেও এই সব্জি দারুণ উপকারী। বিটে উপস্থিত বেটালাইন এবং নিও বেটানিন যৌগ রক্তে শরর্কার মাত্রা হ্রাস করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। ডায়াবিটিসে আক্রান্তরা চোখের সমস্যায় ভোগেন। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও বিট উপকারী।
প্রতীকী ছবি
রসুন
টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদররা। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলেও রসুন খাওয়া যেতে পারে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কুমড়োর বীজ
ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকা একেবারেই উচিত নয়। হালকা খিদে পেলে বাইরের ভাজাভুজি না খেয়ে কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। কুমড়োর বীজে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কুমড়োর বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কের মতো খনিজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।