Diabetes Control

সব দোষ কেক-পেস্ট্রি-মিষ্টির নয়, শীতে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে ৫ কারণ

আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি পড়ে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের উপর। এই মরসুমে নানা রকম খাবারের হাতছানি এড়াতে পারা মুশকিল। তাই এই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের প্রভাবে বিঘ্নিত হয় রক্তে শর্করার ভারসাম্য। কী কী করলে শীতকালেও বাড়বে না শর্করার মাত্রা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৭
Share:

শীতে ডায়াবিটিস বাড়ে কেন? ছবি: সংগৃহীত।

শীতের মরসুমে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গেই যেন না চাইলেও জীবনধারায় বদল চলে আসে। লেপ-কম্বলের আরাম ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না একেবারেই। প্রতি দিনের যাবতীয় কাজে ভাটা পড়ে। শীতের আমেজে ভোরে উঠে শরীরচর্চা করতে যেমন ইচ্ছা করে না, তেমনই আবার পিঠে-পুলি, কেক-কুকিজ়, হালুয়ার মতো লোভনীয় সব খাবার দেখলে লোভ সামলানো দায় হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি পড়ে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের উপর। এই মরসুমে নানা রকম খাবারের হাতছানি এড়াতে পারা মুশকিল। তাই এই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের প্রভাবে বিঘ্নিত হয় রক্তে শর্করার ভারসাম্য। কী কী করলে শীতকালেও বাড়বে না শর্করার মাত্রা?

Advertisement

১) ডায়েটে অনিয়ম নয়

শীতের সন্ধ্যায় গরম ধোঁয়া ওঠা হট চকোলেট বা ক্যাপুচিনো খেতে কমবেশি সবাই ভালবাসেন। সঙ্গে রকমারি স্ন্যাক্‌স থাকলে তো কথাই নেই। তবে ডায়াবিটিস থাকলে কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে অনিয়ম করলে চলবে না। শরীরে শক্তি সরবরাহকারী ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলির মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট। এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রক্তের শর্করার উপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলে। যদিও স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য শর্করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তার পরিমাণ হতে হবে পরিমিত। তাই কার্বোহাইড্রেট ও চিনিজাতীয় যে কোনও খাবার শীতের দিনে খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করলেও খাওয়া কিন্তু চলবে না। এ ছাড়াও নরম পানীয়, ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

Advertisement

২) পরিমাপ করে খাওয়া

শীতকালে পিকনিক, বিয়েবাড়ির মতো একাধিক নিমন্ত্রণ থাকে। সেই সব জায়গায় গিয়ে খাওয়াদাওয়ার বিষয় নিজেকে সামলে রাখা কঠিন। তবে ডায়াবেটিক হলে নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। কেবল শর্করাযুক্ত খাবার কম খেলেই হবে না, অন্যান্য খাবারও খেতে হবে পরিমাপ বুঝে।

৩) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শরীরচর্চা এবং খাওয়াদাওয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হল মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই সময় পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেন মনমেজাজ ভাল থাকবে।

৪) শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকুন

যতই ঠান্ডা লাগুক, ঘুম থেকে সকালে উঠতে চেষ্টা করুন। সারা দিনের কাজের মাঝে শরীরচর্চা করার সময় না পেলে কিন্তু বিপদ বাড়বে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে প্রথমেই বিপাকীয় হারে পরিবর্তন আনতে হবে। রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শীতকালেও হালকা যোগাসন, হাঁটাহাঁটি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৫) নিয়মিত শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে

আবহাওয়ার বিন্দুমাত্র পরিবর্তনেই বদলে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। খাওয়াদাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাও দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement