বায়ুদূষণ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, গাড়ি-বাসের কার্বন মিশ্রিত ধোঁয়া— এমন কিছু কারণে বায়ুদূষণ ক্রমশ বে়ড়ে চলেছে। উৎসব শেষে আর বেশি করে যেন এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সামনেই দীপাবলি। বাজির ধোঁয়ায় বায়ুদূষণের তীব্রতা আরও এক ধাপ বাড়বে। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া জরুরি। বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শীত পড়ব পড়ব করছে। এই সময় নানা রোগবালাইয়ের ঝুঁকিও অনেক বেশি। বায়ুদূষণের প্রকোপ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে?
১) বাইরে বেরোলেই যে সব সময় দূষণের কবলে পড়তে হবে, তার কোনও মানে নেই। বাড়ির মধ্যেও বিভিন্ন কারণে দূষণ ছ়ড়িয়ে পড়তে পারে। রান্নার গ্যাসের ধোঁয়া, রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত স্প্রে, খোলা জানলা দিয়ে ধুলোবালি ঘরে ঢুকেও দূষিত করতে পারে পরিবেশ। তাই বাড়ির ভিতরটা পরিষ্কার রাখা জরুরি। আসবাব কিংবা অন্য কোনও জিনিস পরিষ্কার রাখার জন্য প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন।
২) ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ এবং দূষণ মুক্ত রাখতে ব্যবহার করতে পারেন ‘এয়ার পিউরিফায়ার’। এই যন্ত্র ঘরের বাতাসে মিশে থাকা ধূলিকণা, ভাইরাস শোষণ করে রোগাবালাইয়ের ঝুঁকি কমায়।
৩) সবুজ গাছ দিয়ে ঘর সাজান অনেকেই। তবে এমন অনেক ইন্ডোর প্ল্যান্ট আছে, যেগুলি ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত রাখে। স্নেক প্ল্যান্টস, পিস লিলি বায়ুদূষণের প্রভাব থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
মাস্ক না পরে বাইরে যাওয়া উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কোভিডের চোখরাঙানি এখন নেই। তাই বলে মাস্ক পরা বন্ধ করে দিলে চলবে না। কোভিড না থাকলেও বায়ুদূষণ তো আছে। বায়ুদূষণজনিত শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি এড়াতে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানির সমস্যা থাকলে এই সময় মাস্ক না পরে বাইরে যাওয়া উচিত নয়।
৫) ভোরের দিকে বাতাস পরিষ্কার থাকে। বেলা বাড়লেই দূষণ বাড়তে শুরু করে। তাই সকালের মুক্ত বাতাসে প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিন। দিনের শুরুতে শরীরচর্চা করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। সকাল সকাল ঘুম থেকে ছাদে কিংবা বাড়ির কাছের কোনও মাঠে হাঁটতে পারেন। ব্যায়াম করলে আরও ভাল।