শিশুদেরও কিন্তু ইউটিআই-এর সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
মূত্রনালিতে সংক্রমণ কিংবা ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’-এর সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তো বটেই, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদেরও কিন্তু ইউটিআই-এর সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের সংক্রমণ নিঃশব্দেই বাসা বাঁধে শরীরের অন্দরে। ফলে আগে থেকে বোঝা যায় না। শিশুদের শরীরেও যাতে এই রোগ হানা না দেয়, সে দিকে অভিভাবকদেরই খেয়াল রাখতে হবে। সন্তান যাতে ইউটিআই-এ আক্রান্ত না হয়, তার জন্য কী কী সুরক্ষা নিতে হবে?
বেশি করে জল খাওয়ান
যে কোনও বয়সে ইউটিআই হওয়ার অন্যতম কারণ হল পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খাওয়া। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শিশুকে বেশি করে জল খাওয়ানো জরুরি। ২ বছর বয়সি শিশুদের সারা দিনে ৫০০ মিলিলিটার জল খাওয়া যথেষ্ট। ৩-৪ বছর বয়সিদের দিনে ৭৫০ মিলিলিটার থেকে ১ লিটার জল খাওয়া জরুরি।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ইউটিআই-এর ঝুঁকি বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত মলত্যাগ করা জরুরি
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ইউটিআই-এর ঝুঁকি বাড়ে। তাই শিশু প্রতি দিন মলত্যাগ করছে কি না, তা খেয়াল রাখুন। নিয়মিত মলত্যাগ না করলে ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার শিশুকে বেশি করে খাওয়ান। দইও খাওয়াতে পারেন।
শিশু যেন প্রস্রাব চেপে না রাখে
অনেক শিশুই প্রস্রাব পেলে সঙ্গে সঙ্গে বলতে চায় না। প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাসে কিন্তু ঝুঁকি বাড়ে ইউটিআই-এর মতো রোগের। তাই সন্তানকে বলে রাখুন, প্রস্রাব পেলে চেপে না রাখে। প্রস্রাব বেশি ক্ষণ চেপে থাকলে মূত্রথলিতে নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।
শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন
অপরিষ্কার থাকলেও ইউটিআই হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সন্তানকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। বিশেষ করে স্কুল থেকে ফেরার পর। খেলাধুলো শেষে শিশুকে অতি অবশ্যই স্নান করিয়ে দেন। শিশুর অন্তর্বাসও এক দিন অন্তর কেচে নিন।