ছবি: সংগৃহীত।
প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে রাজ্য। তাপমাত্রার পারদ টেক্কা দিয়েছে মরুরাজ্যকে। দিনের বেলা তো বটেই, রাতেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি রয়েছে। তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছেন মানুষ। পারতপক্ষে অফিস থেকে বাইরে পা রাখতে চাইছেন না কর্মীরা। পথচারীরা কিছু ক্ষণ হলেও শপিং মলে ঢুকে কিংবা বাতানুকূল দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দহনজ্বালা জুড়িয়ে নিচ্ছেন। শহরে অনেক বাড়িতে ঘর ঠান্ডা করার এসি যন্ত্রটি থাকলেও এই সুখ সকলের সাধ্যের বাইরে। আবার, এসি থাকলেও সারা ক্ষণ সেই ঘরে বসে থাকাও তো শরীরের জন্য ভাল নয়। তা হলে এই তীব্র দহন সামাল দেবেন কী করে?
১) গরমকালে ‘চিল্ড’ বিয়ার খাওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। মনে রাখতে হবে, ঠান্ডা বিয়ার খেলে সাময়িক আরাম হয়, এই অভ্যাস কিন্তু শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই সময়ে বেশি চা, কফি না খাওয়াই ভাল।
২) দিনের যে সময়টা সবচেয়ে বেশি গরম, সম্ভব হলে সেই সময়টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন। বাড়ির বাইরে ছায়া-ঘেরা জায়গায় থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৩) জলের কোনও বিকল্প নেই। তাই বারে বারে জল খেতে হবে। সঙ্গে ফল কিংবা ফলের রস, ডাবের জলও খাওয়া যেতে পারে।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
৪) হালকা, সুতির পোশাক পরতে হবে। এই সময়ে খুব আঁটসাঁট পোশাক না পরাই ভাল। খুব গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলুন।
৫) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘরের সমস্ত দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন। যাতে রোদ ঘরে ঢুকতে না পারে। জানলা-দরজায় বড়, মোটা পর্দা টাঙিয়ে রাখতে পারেন। ঘর তুলনামূলক ভাবে ঠান্ডা থাকবে।
৬) বড় কোনও পাত্রে জল ভরে ফ্রিজ়ে ঢুকিয়ে রাখুন। জমে বরফ হয়ে গেলে বার করে ঘরে রেখে দিন। ফ্যান চালিয়ে রাখতে পারেন। ঘরের তাপ অনেকটা কম হবে।
৭) দেহের তাপমাত্রা হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে শারীরিক সমস্যা হতেই পারে। রোদ থেকে ফিরেই ফ্রিজ়ের জল খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং বাড়ি ফিরে ফ্যানের তলায় কিছু ক্ষণ বসে স্নান করে নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে নিতে পারেন। শরীর ঠান্ডা হবে।